• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

জাতিসংঘ অধিবেশন : কারা থাকছেন, এজেন্ডায় কী আছে?

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২  

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জড়ো হচ্ছেন বিশ্বনেতারা। ইউক্রেনে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবারের অধিবেশনে গুরুত্ব পাবে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

এবারের সম্মেলনে প্রতিপাদ্য হলো, ‘একটি চরম মুহূর্ত: আন্তঃসংযুক্ত সমস্যার রূপান্তরমূলক সমাধান’। জাতিসংঘের মতে, এই প্রতিপাদ্য স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্ব সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে জটিল ও আন্তঃসংযুক্ত সংকটের কারণে।

মঙ্গলবার উদ্বোধনী ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব ধনী দেশগুলোর প্রতি জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির ওপর কর আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবৃদ্ধিতে সংকটে থাকা দেশগুলোকে এই কর থেকে সংগৃহীত তহবিল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ব জীবাশ্ম জ্বালানিতে আসক্ত। সময় এসেছে হস্তক্ষেপের। জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে আমাদের আত্মঘাতী লড়াই। সব সরকারের উচিত এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।  

মঙ্গলবার উদ্বোধনী ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার আরও যারা ভাষণ দেবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বুধবার ভাষণ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অধিবেশনে কারা থাকবেন?

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সব সদস্য রাষ্ট্রকে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কোনও রেজুলেশন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভোটাভুটিতে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিতে পারবে।

২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনাভাইরাস মহামারি ঘোষণার পর এই প্রথম স্বশরীরে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত দুই বছর রাষ্ট্রপ্রধানরা রেকর্ডকৃত ভিডিও বক্তব্য পাঠাতে পেরেছিলেন।

এবারের অধিবেশনে বক্তাদের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উভয় নেতাই অধিবেশনে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন।  

কোথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে?

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম ছয়টি অধিবেশন বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুতে লন্ডন, পরে নিউ ইয়র্ক এবং তারপর প্যারিসে।

১৯৫২ সাল থেকে প্রায় সব অধিবেশন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কীভাবে এজেন্ডা নির্ধারিত হয়?

প্রতিটি জাতিসংঘ অধিবেশনে বেশ কিছু এজেন্ডা নির্ধারিত থাকে। এগুলো নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা, ভোটাভুটি ও বিভিন্ন সাব-কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই বিষয়গুলো বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র বা জাতিসংঘ সংস্থা, মহাসচিবের পরামর্শের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। ইউএনজিএ সাধারণ কমিটি এজেন্ডার তালিকা তৈরি করে এবং অধিবেশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কীভাবে প্রতিটি এজেন্ডা নিয়ে কী করা হবে।

কোন এজেন্ডাগুলো এবার গুরুত্ব পাচ্ছে?

এবারের বার্ষিক সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বৈশ্বিক খাদ্য সংকটও থাকবে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার তালিকায়।

জাতিসংঘের নারী মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক বলেছেন, যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব দ্রুত কোনও পদক্ষেপ দেখছেন না। তবে ইউক্রেনের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।

আগের বছরগুলোর মতো আলোচনায় বড় স্থান দখল করে থাকবে জলবায়ু পরিবর্তন। বিশেষ করে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্য।

করোনাভাইরাস ঠেকানোর জন্য জারি করা সব বিধিনিষেধ প্রায় সব দেশই প্রত্যাহার করে ফেলেছে। তবু করোনাভাইরাসের টিকার প্রাপ্যতা, আর্থিক পুনরুদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় থাকবে।

ইউএনজিএ রেজুলেশন কী?

বছরজুড়ে জাতিসংঘ কাউন্সিলে পাস হয় রেজুলেশন। যেমন- মানবাধিকার কাউন্সি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল এবং নিরাপত্তা কাউন্সিল। প্রতিটি কাউন্সিলের সদস্য চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়।

ইউএনজি রেজুলেশনকে নির্দিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছার প্রকাশ হিসেবে মনে করা হয়। যদিও এসব রেজুলেশন মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। ফলে এগুলো বাস্তবায়নে সদস্য রাষ্ট্রকে বাধ্য করার কোনও আইনি এখতিয়ার নেই জাতিসংঘের। তবু বৈশ্বিক ঘটনাবলীর জন্য এগুলো প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে।

বিপরীতে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত রেজুলেশন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মেনে চলার জন্য বাধ্যতামূলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র রেজুলেশন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।