• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর আভাস

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২১  

ইরানের সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলের। পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি ফের কার্যকর করার যে প্রচেষ্টা চলছে তারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। ইসরায়েল যেহেতু পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য নয় তাই তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ইরানের সঙ্গে পাঁচ বিশ্ব শক্তি ও জার্মানির পরমাণু চুক্তিকে ফের সক্রিয় করতে বিশ্ব নেতারা যখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তখন এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সতর্ক করল ইসরায়েল। আগামী ২৯ নভেম্বর পরমাণু চুক্তি ফের সক্রিয় করতে আলোচনায় বসবেন চুক্তি সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিরা। তবে বিশ্বশক্তি ইরানের চুক্তি মানতে বাধ্য হলেও ইসরায়েল তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

নাফতালি বেনেটের দাবি, পরমাণু কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অকল্পনীয়ভাবে অগ্রসর হয়েছে ইরান। এমনকি গোটা ইসরায়েলকে মিসাইল দিয়ে ঘিরে রেখে ইরানের নেতারা নিরাপদে বসে আছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ অবস্থায় সময় মতো ইরানে হামলার ইঙ্গিত দেন বেনেট।

পরমাণু চুক্তিতে ফেরার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শক্তিধর দেশগুলো নিশ্চুপ থাকলেও ইরানের পরমাণু প্রকল্প ঠেকাতে লড়াই অব্যাহত রাখবে তেল আবিব।

নাফতালি বেনেট বলেন, আমরা এখন কঠিন এক সময়ে আছি। আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও আমাদের দ্বন্দ্ব হতে পারে, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে কোনো কারণে যদি চুক্তি আবার সক্রিয় হয় আমরা সেই চুক্তির কোনো অংশ না। সিরিয়ার শিয়া, উত্তরে হিজবুল্লাহ, দক্ষিণে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। সব দিক থেকে ইরানিরা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ঘিরে আছে। আমরাও বসে থাকবো না।

একইদিন, সাগরে ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলার বিষয়ে আরব দেশগুলোকে সতর্ক করেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। তার দাবি, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের চাবাহার ও কেশম ঘাঁটি থেকে ড্রোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ অবস্থায় উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এরইমধ্যে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি আলোচনার আগমুহূর্তে দেশটিতে পরমাণু প্রকল্প ঘুরে দেখতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা।