• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রস্রাবের রং ধূসর হলে করণীয়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩  

শারীরবৃত্তীয় সহজাত প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রস্রাব। যা প্রক্রিয়াটি সুস্থভাবে চললে কোনো সমস্যা নেই। তবে এখানে সমস্যা হলেই বুঝবেন শরীরে বাসা বেঁধেছে কোনো অসুখ। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া গতি নেই। বিশেষত, যদি প্রস্রাব ধূসর হয়, তবে তো আরো বেশি করে সতর্ক হতে হবে।
আসলে আমরা পানি পান করি। সেই পানি কিডনিতে গিয়ে পৌঁছায়। কিডনি সেই পানির সঙ্গে ক্ষতিকর কিছু পদার্থ মিশিয়ে দিয়ে তৈরি করে মূত্র। তারপর তা ব্লাডারে পৌঁছায়। ব্লাডার ভর্তি হয়ে গেলে আমাদের প্রস্রাব পায়। আমরা ইউরিন করি। এই হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়াটি।

এতে একটি স্তরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে প্রস্রাবেই দেখতে পাবেন জটিলতার লক্ষণ। তখন সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বললেই চলে। এদিকে কিছু ব্যক্তির আবার হঠাৎ করেই প্রস্রাব ধূসর রঙের হয়ে যায়। এর পেছনে কিছু শারীরিক কারণ অবশ্যই রয়েছে। আসুন জানা যাক সেই সম্পর্কে।

​ওয়েব মেড জানাচ্ছে, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই-এর কারণে অনেক সময় এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্লাডার, কিডনি বা ইউরেথ্রায় হয় ইনফেকশন। প্রস্রাব ধূসর হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই কয়েকটি লক্ষণও থাকে, যেমন-

>> প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা
>> জ্বালা
>> না চাইলেও প্রস্রাব বেরিয়ে আসা
>> প্রস্রাবে গন্ধ
>> পেটে ব্যথা

এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। এই ওষুধ খেলেই ভালো থাকবেন।

>>পানি প্রতিটি ব্যক্তিকে পরিমাণ মতো খেতে হবে। তার কম হলেই শরীরে দেখা দিতে পারে বিরাট সমস্যা। এক্ষেত্রে হতে পারে ডিহাইড্রেশন। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, পানি কম পান করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়। এই কারণে তা ধূসর বা গাঢ় রঙের হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে কোনো ওষুধ কাজে আসে না। বরং আপনাকে নিয়মিত পানিপান করতে হবে। আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে দিনে অন্ততপক্ষে তিন লিটার পানিপান করা প্রয়োজন।

>>কিডনি তৈরি করে মূত্র। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই অঙ্গে খনিজ জমে তৈরি করে স্টোন। এই অঙ্গে পাথর তৈরি হলে প্রস্রাব ধূসর হতে পারে। এছাড়া কিডনি স্টোন থাকলে এই কয়েকটি লক্ষণও দেখা যায়- পিঠে ব্যথা, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, প্রস্রাবে রক্ত থাকা ইত্যাদি। পাশাপাশি আক্রান্তের জ্বর আসতে পারে। এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। ছোট আকারের স্টোন খুব সহজেই বেরিয়ে যায়। অপরদিকে বড় আকারের স্টোন বের করতে অপারেশন করতে হয়।

>> সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ অত্যন্ত সমস্যার এক রোগ। অসাবধানতার সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার জন্য এই অসুখ পিছু নিতে পারে। ক্যালামিডায়া, গনোরিয়ারম মতো ইনফেকনশন এক্ষেত্রে সঙ্গী হতে পারে। এই দুই ইনফেকশন কিন্তু মহা সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে প্রস্রাব ধূসর হওয়া সম্ভব। এছাড়াও এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে- পেনিস বা ভ্যাজাইনা থেকে ক্লাউডি বা ব্লাডি ডিসচার্জ, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পর যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা, জ্বালা করা ইত্যাদি। এই অসুখের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবোয়াটিক খান। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

>> পুরুষের প্রস্টেট গ্ল্যান্ড রয়েছে। এই গ্রন্থি স্পার্মে তরল পদার্থ যোগ করে। দেখা গেছে যে এই অঙ্গে প্রদাহ হলেও প্রস্রাব অনেক ক্ষেত্রেই ধূসর হয়ে যায়। তাই সচেতন থাকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত থাকলে বা তলপেটে ব্যথা হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।