নিপাহ্ ভাইরাস: খেজুরের রস খাওয়ার আগে করণীয়
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২২

কুয়াশা-ঢাকা শীতের সকালে টাটকা এক গ্লাস খেজুরের রসের তুলনা হয় না। শীতে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যে কাঁচা খেজুরের রস আহহ, এক কথায় অমৃত! তবে এ মধুবৃক্ষ থেকে আহৃত রস কাঁচা কিংবা জ্বাল দিয়ে উভয়ভাবেই খাওয়া হয়। কিন্তু শীতকালে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস কাঁচা খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
নিপাহ্ ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, নিপাহ্ ভাইরাস এক ধরণের 'জুনোটিক ভাইরাস' অর্থাৎ এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। পরে সেটি মানুষে মানুষে সংক্রমিত হয়ে থাকে।
বিশ্বে প্রথম নিপাহ্ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় শূকর খামারিদের মধ্যে। পরবর্তীতে এই ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ২০০১ সালে।
পরে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান - আসিডিডিআর আক্রান্ত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয় যে, বাদুড়ই নিপাহ্ ভাইরাস খেজুরের রসে ছড়িয়ে দিয়েছে। খেজুরের রসের হাঁড়িতে বাদুড়ের মল লেগে থাকতে দেখা যায়।
আইইডিসিআর'এর তথ্যমতে, ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নিপাহ্র সংক্রমণ নওগাঁ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রংপুরসহ দেশের ৩১টি জেলায় দেখা গেছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে ভয়াবহ প্রদাহ দেখা দেয়। এতে রোগী জ্বর ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন। এক পর্যায়ে খিচুঁনিও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত গাছিরা খেজুর গাছে রস সংগ্রহের কলসি ঝোলান বেলা গড়ানোর পরে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে। সারারাত রস নিঃসরিত হয়। সেখানে কীট পতঙ্গসহ নানা ধরনের পাখি, বিশেষ করে রাতের বেলা নিশাচর প্রাণী বাদুড় রস পান করতে আসে। বাদুড় যখন খেজুরের রসে মুখ দেয়। তখন তাদের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা এমনকি তাদের মলমূত্র খেজুরের রসের সঙ্গে মিশে যায়। এই দূষিত রস কাঁচা অবস্থায় খেলে নিপাহ ভাইরাস সরাসরি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এর ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যা মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
খেজুরের রস খেতে সতর্কতা
নিপাহ্ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কোন টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। এ কারণে খেজুরের রস খাওয়া বন্ধ করে দেবেন, বিষয়টা তা নয়, এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক হলেই হবে।
প্রথমত রস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে দ্রুত রস বিতরণ করার এবং ঢেকে রাখার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ভাইরাস থেকে নিস্তার পাওয়ার প্রধান উপায় হল গাছগুলোর রস সংগ্রহের জায়গায় প্রতিরক্ষামূলক আবরণ বা স্যাপ স্কার্ট ব্যবহার করা, যেন বাদুড় এর সংস্পর্শে আসতে না পারে।
স্যাপ স্কার্ট হলো- বাঁশ, কাঠ, ধইঞ্চা, পাটের খড়ি বা পলিথিন দিয়ে বানানো বেড়া। যেটা রসের নিঃসরণের চোঙের মাথা থেকে কলসির মুখ পর্যন্ত পুরোটা গাছের সঙ্গে বেঁধে ঢেকে রাখা।
কলসির মুখে ঢাকনার ব্যবস্থাসহ রসের উৎস মূল ঘিরে নাইলনের জাল দিয়ে বেষ্টনী দিতে হবে।
তবে আইসিডিডিআর'বির গবেষকরা গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন যে, রসের হাড়ির চারপাশ জাল বা এমন স্যাপ স্কার্ট দিয়ে ঢেলে দিলেও বাদুর কলসির মুখ বরাবর প্রস্রাব করে। ওই বেড়া দিয়ে বাদুড়ের রস খাওয়া প্রতিরোধ করা গেলেও ওই প্রস্রাবের গতি ঠেকানো যায় না। ফলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
কাঁচা খেজুর রস পান করা একটি সংস্কৃতি হলেও, প্রতিষ্ঠানটি বলছে, জীবন রক্ষার্থে রস সিদ্ধ করে পান করা নিরাপদ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, কাঁচা রস পান করা মোটেও নিরাপদ নয়। এক্ষেত্রে রসটি ফুটিয়ে খেলে ঝুঁকিমুক্ত থাকা সম্ভব। রস সংগ্রহের পর আগুনে ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে কিছু উত্তপ্ত করলেই ভাইরাস মরে যাবে।
খেজুরের রস এতোটা নিয়ম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এজন্য নিজে গিয়ে না হলে বিশ্বস্ত সূত্রে রস সংগ্রহ করতে হবে। খেজুরের রস বিশ্বস্ত কারও থেকেই নেয়া ভালো। যারা এসব বিষয়ে সচেতন।
এছাড়া গাছ থেকে ঝরে পড়া ফল কিংবা গাছে ধরা ফল খাওয়ার আগে ফলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে এবং খোসা ছাড়িয়ে নেয়া উচিত। বাদুড়ের কামড়ের চিহ্ন দেখতে পেলে সেই ফল সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিতে হবে।
রস সংগ্রহের স্থান থেকে বাদুড়কে দূরে রাখা সহায়ক হতে পারে। কিন্তু বাদুড় অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত উড়তে পারে। তাই এই উপায় খুব একটা কাজে দেবে না বলছেন, মিজ ফ্লোরা।
খেজুরের রস খাওয়ার সবচেয়ে আদর্শ সময় হলো ভোরবেলা। কারণ সারারাত ধরে রস জমতে থাকে এবং সকাল পর্যন্ত এই রস টাটকা থাকে। স্বাদ গন্ধও থাকে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বেলা বাড়তে থাকলে রসের স্বাদ গন্ধে পরিবর্তন আসতে থাকে, অম্লতা বাড়ে কারণ দিনের আলোয় ফারমেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়া দ্রুত হতে থাকে।
তাই রস সংগ্রহের তিন ঘণ্টার মধ্যে বা কড়া রোদ ওঠার আগেই রস খেয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন। দেরিতে রস খেলে বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে গ্যাসসহ পরিপাকে সমস্যা দেখা দিতে পারে
প্রচলিত খাদ্য হিসেবে খেজুর রস বেশ সস্তা, পুষ্টিকর এবং উপাদেয়। এতে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদানের পাশাপাশি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজসহ প্রচুর ভিটামিনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা অনেকটা প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংকের মতো কাজ করে। তাই কাজকর্মের দুর্বলভাব কাটাতে খেজুরের রসের জুড়ে নেই।
একজন সুস্থ মানুষ সকালে এক থেকে থেকে দুই গ্লাস রস খেতে পারেন। তবে এক গ্লাস খাওয়াই ভালো। তবে কারো ডায়াবেটিস থাকলে কিংবা কিডনি জটিলতায় ভুগলে তাদেরকে খেজুরের রস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ খেজুরের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি।
- হাঁটতে বা দৌড়াতে গিয়ে পেশিতে টান লাগলে দ্রুত যা করবেন
- সকালে ঘুম থেকে উঠেই কি আবার শুয়ে পড়েন!
- অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি
- অর্থপাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
- নানান স্বাদের ইলিশ
ইলিশ মাছের টক - ছাত্রকে বলাৎকার, গণপিটুনি খেলেন শিক্ষক
- ‘লাল সিং চাড্ডা’কে বিশেষ সম্মান দিল অস্কার কর্তৃপক্ষ!
- নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষ কষ্টে আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- বাবাকে পিটিয়ে ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই, ক্ষমা চাইলেন ছেলেরা
- মহাসড়কে ডাকাতি রোধে টহল জোরদার করেছে র্যাব
- ১৫ আগস্ট: শোকাহত হৃদয়ের ভাব
- অবশেষে হাম্বান্টোটায় ভিড়ছে চীনা গোয়েন্দা জাহাজ
- এমন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড আর দেখেনি পৃথিবী
- সুইস ব্যাংকের তথ্য চেয়ে ‘৩ বার চিঠি দিয়েছিল’ বাংলাদেশ ব্যাংক
- তেলের দাম বাড়াতে বিএনপি পুঁটি মাছের মতো লাফাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু নেই বঙ্গবন্ধু আছেন
- জাতির পিতার মৃত্যু নেই
- জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- সৌদিতে পাচার হওয়া দুই নারী উদ্ধার
- মিশেল ব্যাচেলেট ঢাকায় এসেছেন
- ছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
- ‘ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছে ফেসবুক’
- অ্যানড্রয়েড ছেড়ে ডাম্ব ফোনে ঝুঁকছে তরুণ প্রজন্ম
- সমুদ্রে ৩ ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত
- ‘বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনগুলো জাতির অমূল্য সম্পদ’
- ১০ দিনেই দেশে এলো ৭৮০৪ কোটি টাকার রেমিট্যান্স
- শেখ মুজিব আমার পিতা
- প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধু আমাদের রোল মডেল
- খুনিরা প্রস্তুত; কয়েক ঘণ্টা পরেই সব অন্ধকার!
- সাকিবই থাকছেন অধিনায়ক
- পদ্মা সেতু যুক্ত করেছে তিন বন্দরকে
- পদ্মাসেতু ভ্রমণ প্যাকেজ চালু
- পদ্মায় এবার আরেকটি স্বপ্নজয়ের পালা
- প্লুটো গ্রহের অচেনা রূপের ছবি প্রকাশ করল নাসা
- এক আংটিতে ২৪ হাজার ৬৭৯ হীরা, বিশ্ব রেকর্ড
- এবার বৃহস্পতি গ্রহের ছবি তুলে চমক দিলো জেমস ওয়েব
- বৃষ্টির দিনে রসুই ঘর
লাউ পাতার খোসা ভর্তা - আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে নবম বিশ্বকাপ নেদারল্যান্ডসের
- দেশে বিদ্যুতের কোনো অভাব নেই, দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে ১৬টি দেশ
- পোষ্য থাকলে বাড়িতে ভুলেও যে তিন গাছ রাখবেন না
- কৃষিতে সোনালি সম্ভাবনা
- লোডশেডিংয়ের সময় কাটাতে যা করতে পারেন
- আদিবাসী কাকে বলে এবং উপজাতি কাকে বলে?
- পাঁচ লক্ষণ থাকলেই বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে
- শরবতে জুড়াক প্রাণ
ছাতুর শরবত - হোয়াইটওয়াশের মিশনে বাংলাদেশ
- গুগল ফটোজে থাকা ব্যক্তিগত ছবি লক করার উপায়
- যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন সাকিব!
- অ্যাপের মাধ্যমে সাবেক স্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্যফাঁস!
- যেভাবে জানা যাবে কোথায় কখন লোডশেডিং
- ঝি ঝি ধরা কেন হয়, উদ্বেগের কোন কারণ আছে?
- পদ্মায় বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু ঘটনায় মামলা, ১৫ বন্ধু গ্রেপ্তার
- ১৮ হাজার টাকার স্মার্ট জ্যাকেট, গান-সেলফিসহ সবই সম্ভব
- যে কারণে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল পূর্ণিমার
- বিএডিসির ২ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন, ৩ জনের ৭ বছর করে জেল
- বৃহস্পতিবার থেকে ফেসবুক হয়ে যাবে ‘টিকটকের মতো’
- পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক বসছে ৩০ জুলাই
- বৃষ্টির দিনে রসুই ঘর
চিংড়ি মাছের বড়া - ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে স্নাতক ভর্তির নিয়ম, আবেদনের যোগ্যতা