• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

রসেও যেতে পারে জীবন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১  

করোনা মহামারি নিয়ে অতিষ্ট সবাই। এ দিকে পরবর্তী মহামারি নিপা ভাইরাসের কারণে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিপা ভাইরাসে অসুস্থ প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। আর খেজুরের রসে রেয়েছে এই ভাইরাসের ঝুঁকি।

নিপা ভাইরাস হলো এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস, যা প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের হেনিপাহ ভাইরাসের অর্ন্তগত। এই ভাইরাস প্রাণী থেকে প্রথমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, তারপর আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে আরেকজন আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ এই ভাইরাসের সংক্রমণের ধরন কিছুটা করোনা ভাইরাসের মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাধারণত বাদুড় বা শূকরের মাধ্যমে ভাইরাসটি মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন বাদুড়ের লালা, মূত্রের সংস্পর্শে আসা কোনো ফল যদি কেউ খায়, তখন নিপা ভাইরাস তার দেহে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুর, পেয়ারা, আম বা লিচুর মতো ফল থেকে সংক্রমণ বেশি হতে পারে। কারণ, এই ফলগুলো বাদুড়ের প্রস্রাব বা লালার মাধ্যমে দূষিত হয়।

শীতকালে কাঁচা খেজুরের রসে নিপা ভাইরাস থাকার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ। খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য গাছে যে হাঁড়ি বাধা হয়, ওই হাঁড়ি থেকে রাতে বাদুড় রস পান করে। ফলে খুব সহজেই বাদুড়ের লালা থেকে নিপাহ ভাইরাস হাঁড়ির রসে মিশে যেতে পারে। এমনকি বাদুড়ের প্রস্রাবের মাধ্যমেও ভাইরাসটি রসে মিশতে পারে। গবেষকরা বলছেন, নিপা ভাইরাস মিশ্রিত খেজুরের রস পান করলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এই ভাইরাস মানুষের মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হলে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তা হলো ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জ্বর, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মাংসপেশিতে ব্যথা, বমি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, অচেতন হয়ে পড়া ইত্যাদি। অনেকে খিঁচুনিতেও আক্রান্ত হন। উপসর্গগুলো ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, যার সম্ভাব্য পরিণতি মৃত্যু।