• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সঙ্গমের উত্তেজনায় ফাটে মস্তিষ্কের রক্তনালি, মৃত্যু হয় যুবকের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

যৌন চাহিদা পরিতৃপ্ত করতেই যৌনবৃত্তির সৃষ্টি। দিনের আলোয় নয়, পৃথিবীর নানা প্রান্তে লালবাতি এলাকায় ভিড় জমে রাতের অন্ধকারে। ‘সভ্য সমাজের’ ভ্রুকুটি এড়িয়ে যৌনকর্মীদের দ্বারস্থ হন অনেকেই। যৌনপল্লিগুলিতে রাতের অন্ধকারে মৃদু আলোর তলায় চলে যৌনতার খেলা। অনেকেই অর্থের বিনিময়ে যৌনকর্মীদের মাঝে খুঁজে নেন সুখ।
কিন্তু এই যৌনতার উত্তেজনাই যদি ডেকে আনে মৃত্যু? যদি মিলনের মাঝে আচমকা থমকে যায় জীবনের গতি? তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল আফ্রিকা। বেশি দিন নয়, মাত্র বছর দু’য়েক আগে।

চার্লস মাজাওয়া ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার মালাওয়ি প্রদেশের বাসিন্দা। ৩৫ বছরের এই যুবকের মৃত্যু ডেকে এনেছিল সঙ্গম। অতিরিক্ত উত্তেজনাই তার কাল হয়েছিল। যৌনকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমকালে মারা যান তিনি।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চার্লসের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। অস্বাভাবিক এবং অপ্রত্যাশিত এই মৃত্যু শোরগোল ফেলে দিয়েছিল আফ্রিকায়। এমনকি আফ্রিকার বাইরেও খবরটি লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

ঠিক কী ঘটেছিল চার্লসের সঙ্গে? স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ঘর ভাড়া করে এক যৌনকর্মীকে ডেকে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন চার্লস। ভাড়া করা ঘরের বিছানায় তারা যৌনতায় লিপ্ত হন। কিন্তু সঙ্গম চলাকালীন বিছানায় আচমকা সংজ্ঞা হারান চার্লস। তার সঙ্গিনী ঐ যৌনকর্মী জানিয়েছিলেন, চার্লস উত্তেজনায় অত্যধিক মাত্রায় ঘামছিলেন।

চার্লস অজ্ঞান হয়ে গেলে তার সঙ্গিনী প্রথমে বিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। তিনি কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কী থেকে এমনটা ঘটল, তাও তার অজানা ছিল। শেষমেশ অন্য সহকর্মীদের ফোন করে পরিস্থিতির কথা জানান চার্লসের সঙ্গিনী। তাদের পরামর্শে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঐ যুবককে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা চার্লসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চার্লসের মৃতদেহটিকে পরীক্ষা করে দেখা হয়। বিশেষজ্ঞেরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তারা জানান, চার্লসের মৃত্যু হয়েছে প্রবল যৌনসুখ বা অর্গ্যাজমে।

মাত্রাতিরিক্ত অর্গ্যাজম চার্লসের শরীরে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দিয়েছিল। সঙ্গমকালে সে কারণেই তিনি মারাত্মক ঘেমে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, অতিরিক্ত উত্তেজনায় যুবকের মস্তিষ্কের রক্তনালি ফেটে গিয়েছিল।

রক্তনালি ফেটে যাওয়ায় চার্লসের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তারপর আর বেশিক্ষণ সজ্ঞানে থাকতে পারেননি যুবক। বিছানায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে মৃত্যু হয় সেখানেই।

এর আগে সঙ্গমরত অবস্থায় আচমকা মৃত্যুর একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক। তবে অর্গ্যাজমের কারণে মৃত্যুর কথা আগে জানা যায়নি। চার্লসের পরিণতিতে তাই উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ চার্লসের বয়সও খুব বেশি নয়। ফলে বয়সের ভার, দুর্বলতা সঙ্গমের ধকল নিতে পারেনি, এ ক্ষেত্রে খাটে না সেই যুক্তিও।

বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য বলেন, শরীরে অন্য কোনো দুর্বলতা, রোগ না থাকলে, সঙ্গমরত অবস্থায় এমন মৃত্যুর ঘটনা বেশ বিরল। আশঙ্কাও অনেক কম।