নিজের গবেষণা নিজেই মূল্যায়ন করে পেলেন পদোন্নতি
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব ফিলোসফি’র (পিএইচডি) গবেষণা প্রবন্ধগুলো যাচাই করা হয় বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সভায়। অথচ সেই সভায় সুপারভাইজার আর প্রার্থী ছাড়া পরিকল্পনা কমিটির আর কোনও সদস্য ছিলেন না। যদিও পরিকল্পনা কমিটির সদস্যদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই প্রার্থীকে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তারের পদোন্নতির বিষয়ে এ অভিযোগ করেছেন বিভাগের শিক্ষকরাই। অবশ্য সবগুলো বিষয় নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে দাবি করছেন আছমা আক্তার।
গত ৪ মার্চ আছমা আক্তারের সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বোর্ডের সভা হয়। সেই বোর্ড থেকে করা সুপারিশের ভিত্তিতে আছমা আক্তারের পদোন্নতি অনুমোদন করা হয় ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত আলোচিত সিন্ডিকেট সভায়। সঙ্গত কারণেই ওই সিন্ডিকেট সভাকে ‘আলোচিত সভা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর গত ৭ মার্চ চবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৪টি প্রতিনিধি পদে নির্বাচন হয়। নির্বাচনের আগের দিন তড়িঘড়ি সিন্ডিকেট সভা করে ফেলায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। শিক্ষক সমিতি থেকে দুই দফায় এ সিন্ডিকেট সভা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলেও সেটা উপেক্ষা করা হয়।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দাবি, সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আসার আগেই নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এজেন্ডাগুলো কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই অনুমোদন করে নেওয়া ছিলো ওই সিন্ডিকেট সভার উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের পদোন্নতি, বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট, একাডেমিক কাউন্সিলে জমা হওয়া এমফিল, পিএইচডিসহ অনেকগুলো বিষয় অনুমোদন করা হয় ৫৪৩তম সিন্ডিকেট সভায়। সেই সিন্ডিকেটেই অনুমোদন হয়েছিল ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতির পদোন্নতি।
এ পদোন্নতির বিষয়ে আরও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। রেজিস্ট্রার দফতর থেকে গত ২ মার্চ পদোন্নতি বোর্ডের সদস্যদের পাঠানো চিঠিতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট জার্নালের মান যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয় মাত্র একদিন। অর্থাৎ, ২ মার্চ চিঠি দিয়ে ৩ মার্চের মধ্যে বিশেষজ্ঞ সদস্যদের মতামত জানাতে বলা হয়।
এ বিষয়ে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশেই তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পদোন্নতির বিষয়গুলো যাচাইয়ের জন্য যদি সময় কম হতো, তাহলে বোর্ডের সদস্যরা জানাতে পারতেন। ওরকম কোনো অভিযোগ কেউ করেননি।
সেই পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সবুর খান, অধ্যাপক ড. তারিক জিয়াউর রহমান সিরাজী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান, চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওসমান গণী, চবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ ও অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ।
এ বিষয়ে কথা বলতে সভায় উপস্থিত না থাকা বোর্ডের অন্যতম সদস্য ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু জানা যায়, তিনি সপরিবারে সিঙ্গাপুর গেছেন।
পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম এ পদোন্নতির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে গত ২ মার্চ চবির রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দেন (নোট অব ডিসেন্ট)। চিঠির বিষয়ে অধ্যাপক মো. আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির ৩৪তম সভা হয়। ওই সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম না। সভার কার্যবিবরণীতেও আমার স্বাক্ষর নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট অনুযায়ী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল করিমও পরিকল্পনা কমিটির একজন সদস্য। কিন্তু তাকে সভায় আহ্বান না করায় তিনিও অনুপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মো. আবুল হাসেম আরও বলেন, সেদিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিটির সভায় বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তারের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আবেদন বিবেচনার বিষয়টি আলোচ্যসূচির অংশ ছিল। প্রার্থী আছমা আক্তার তাঁর পিএইচডির সুপারভাইজার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরে আলমের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য আবেদনপত্রটি লিখিয়ে রেজিস্ট্রার দফতরে পাঠান। অথচ তারা আমাদের কিছুই জানাননি। যেহেতু পরিকল্পনা কমিটির তিনজন সদস্যের ২ জনই অনুপস্থিত ছিলেন, তাই পরিকল্পনা কমিটির কোনো সভা সেদিন হয়নি। তাহলে কিভাবে আছমা আক্তারের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়? বিষয়টি যথাযথ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট ৯ এর (এ.১) ধারা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক অথবা কমপক্ষে ৩ জন শিক্ষক (বিভাগের সভাপতি ছাড়া) পরিকল্পনা কমিটির সদস্য। অথচ ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি একজন সদস্য নিয়েই সেরে ফেলেছেন পরিকল্পনা কমিটির সভা। তাও আবার সেই সভা থেকে সুপারিশ করা হয়েছে সভাপতির নিজের পদোন্নতির বিষয়ে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আছমা আক্তার বলেন, আমি জানতাম পরিকল্পনা কমিটির সদস্য সভাপতিসহ তিনজন। সভাপতি ছাড়াই যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনজন পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হবেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এ নিয়মানুযায়ী বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. আব্দুল করিম যখন দায়িত্ব পালন করেছেন, তখন আমিও পরিকল্পনা কমিটির সদস্য ছিলাম। কিন্তু আমাকে কখনো তিনি পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেননি। অর্থাৎ বিষয়টি আমরা কেউই জানতাম না।
এদিকে গত ২ মার্চ বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. আব্দুল করিম পরিকল্পনা কমিটি সভা থেকে দীর্ঘদিন তাকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, পরিকল্পনা কমিটির স্ট্যাটিউট ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আমি প্রথম তিনজনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পরিকল্পনা কমিটির একজন সদস্য। কিন্তু বিভাগের সভাপতি ২০২২ সালের ৩১মে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমাকে পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেননি। এমনকি কোনো সভায় আমাকে আহ্বান করা হয়নি। পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউটের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ড. আব্দুল করিম বলেন, পরিকল্পনা কমিটির সভায় আমাকে আহ্বান না করার বিষয়টি জানিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতেই আমার বক্তব্য স্পষ্ট করা হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির ৩৪তম সভার পরদিন (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদোন্নতির বিষয়ে সুপারিশ করে চিঠি দেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তার।
চিঠিতে বলা হয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন আছমা আক্তার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা কমিটির ৩৪তম সভায় পদোন্নতির আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়- আছমা আক্তারের এমফিল ডিগ্রি রয়েছে। তিনি ২০১৩ সালের ১ জুলাই প্রভাষক পদে যোগদান করেন। সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আবেদনপত্রে তার সক্রিয় চাকরির মেয়াদ ৯ বছর ৭ মাস ৮ দিন পূর্ণ হয়েছে। সহকারী অধ্যাপক পদে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর যোগদান করে এ পদে তার ৬ বছর ২ মাস ২দিন চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তিনি সহকারী অধ্যাপক পদে সক্রিয় চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
আছমা আক্তারের গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে- চবির কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে একটি প্রকাশিত ও আরেকটি গৃহীত প্রবন্ধ। এছাড়া যৌথভাবে- ইরানের তেহরান থেকে ফারসি ভাষায় প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ এবং ইন্টারন্যাশনাল বাইলিঙ্গুয়াল জার্নাল অফ কালচার, অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড ল্যাঙ্গুইস্টিক থেকে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ। এ চারটি গবেষণা প্রবন্ধে আছমা আক্তারের মোট অর্জিত পয়েন্ট দেখানো হয়েছে ৭। যদিও পদোন্নতির জন্য শর্ত হলো ৩ পয়েন্ট।
পরিকল্পনা কমিটির দুই সদস্যের অভিযোগ- ৩৪তম সভায় প্রার্থী এবং তার সুপারভাইজার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তাই নিজেদের গবেষণা প্রবন্ধে নিজেরাই নম্বর দিয়ে পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন তারা।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, আছমা আক্তার পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছেন। তাই আছমা আক্তারকে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা হলো। তবে এ চিঠির বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়- সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আছমা আক্তার অনুপস্থিত ছিলেন এবং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম উপস্থিত থাকলেও মতামত দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। যদিও অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম জানিয়েছেন, পরিকল্পনা কমিটির সভায় তিনি ছিলেন না এবং তাকে কিছু জানানো হয়নি। এভাবেই নানান কৌশলে পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আছমা আক্তার বলেন, নিয়ম মেনেই সবকিছু হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে এটা অনুমোদন হতো না। তাছাড়া সুপারিশের পর থেকে অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করেন। সেখানে আমাদের আর কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে না।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক আবুল হাসেম পরিকল্পনা কমিটির সভায় ছিলেন, কিন্তু তিনি আমার দুইটি প্রবন্ধের বিষয়ে সন্তুষ্ট হলেও একটি প্রবন্ধের বিষয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হয়তো। তিনি আমাকে তাৎক্ষণিক ঐ প্রবন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করায় আমি কিছু বিষয় বলেছি। হয়তো প্রবন্ধের ভাষায় হুবহু বলতে পারিনি। আর হঠাৎ এভাবে জিজ্ঞেস করলে কেউই বলতে পারার কথা না। এরপর তিনি কোনো মতামত না জানিয়ে সভা থেকে চলে যান। কিন্তু এখন তিনি বলছেন- সভায় তিনি ছিলেন না। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। আপনারা চাইলে আমি দেখাতে পারবো।
ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি আরও বলেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম যে প্ল্যানিং কমিটির একজন সদস্য, বিষয়টা আমি জানতাম না। গত ৮ মাসেও এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। অথচ আমি যখন পদোন্নতির জন্য আবেদন করেছি, তখন উনারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি সামনে এনে আমার পদোন্নতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। উনারা চান আমার পদোন্নতি না হোক। পদোন্নতি হলে আমি যদি পরবর্তীতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হয়ে যাই, এটাই হয়তো তাদের মাথা ব্যথার কারণ।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিটির সভা বা সুপারিশ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান অনুযায়ী হয় কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জেনে তারপর জানাতে পারবো।
আছমা আক্তার বলেন, বিভাগের কিছু শিক্ষক আছেন, যারা নিয়মিত ক্লাস নেন না। অথচ অনেকগুলো কোর্সের দায়িত্ব নিয়ে রেখেছেন। কারণ কোর্স যত বেশি নিবেন, টাকাও তত বেশি পাবেন। এমন কিছু শিক্ষকের কারণে আমি ঠিকমত কাজ করতে পারি না। সবসময় তারা আমাকে চাপে রাখার চেষ্টা করেন। এবার তারা আমার পদোন্নতির পেছনে লেগেছেন। বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, অথচ তারা চান শিক্ষক নিয়োগ না হোক। শিক্ষক বেশি হলে তাদের কোর্সের সংখ্যা কমে যাবে। এতে করে তারা টাকা কম পাবেন। শুধু তা নয়, পরীক্ষায় নকল করা শিক্ষার্থীদেরও তারা বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন। এখন তারা চান আমাকে এমনভাবে চাপে রাখতে, যাতে আমি পদত্যাগ করি।
পদোন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বলেন, আমরা শুধু যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করি, কোনকিছু অনুমোদন করি না। অনুমোদন হয় সিন্ডিকেটে। তাই কোনো অসঙ্গতি থাকলে সেটা সিন্ডিকেট দেখবে।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- পাপীদের হাতে যখন রাষ্ট্র ছিল, সেসময় রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়নি
- আমরা তৃনমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একত্রে সংগঠন চালাতে চাই
- মাদারীপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- পুলিশের ধাওয়ায় ককটেল ভর্তি বালতি রেখে পালিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- শিবচরে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা
- রাজৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল মালিককে জরিমানা
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- নেই ডাক্তার-নার্স-টেকনোলজিস্ট রাজৈরে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন
- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে কমিটি
- মাদারীপুরে জাতীয় পাট দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড
- বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি
- প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পরেই গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ করছে
- এস আলম চিনিকলে ৫৪ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং
- রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
- জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার
- দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৬
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থার প্রতিফলন: চীফ হুইপ