• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি, জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক অংশ যুক্ত রাখার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রে ঢাকা ও কৃমিল্লা বোর্ডের দুটি সৃজনশীল প্রশ্নে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ উঠেছে।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে যে কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্নগুলো তারা করবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ধরনের যেন সাম্প্রদায়িকতার কোনো কিছু না থাকে সেটিও নির্দেশিকায় আছে। খুবই দুঃখজনক যে কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এ প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনো কারণে এড়িয়ে গেছে বা তিনিও হয়তো এটা স্বাভাবিকভাবে হয়তো বা নিয়েছেন।    

‘আমরা চিহ্নিত করছি এই প্রশ্নটি কোন সেটার করেছেন বা কোন মডারেটর করেছেন, আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। কারণ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোনো কিছু থাকবে- এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আমরা চিহ্নিত করছি। যারা চিহ্নিত হবেন, এ ধরনের সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নের মধ্যে নিয়ে আসবেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপণ করবেন, নিশ্চয়ই তাদেরকে পরে এই ধরনের কার্যক্রমের মধ্যে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত করা হবে না। ’

কারিগরি বোর্ডের বাংলা-১ নতুন ও পুরাতন বিষয় স্থগিত করা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নতুন ও পুরনো প্রশ্ন গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড এমনটা করেছে বলে সেটা আমাদের এখনও মনে হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে যে, প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে, ছাপা হওয়ার ক্ষেত্রে একটা ত্রুটি থেকে যেতে পারে। আরেকটা হচ্ছে ছাপা হওয়ার পরে যে প্যাকিং। কোনো একটা পর্যায়ে ত্রুটি ঘটেছে। যে কারণে এটা স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন সেটিং ও প্রশ্ন মডারেটিং- এই কাজগুলো এমনভাবে হয় যে যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর ওই প্রশ্ন দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও তা পরে দেখতে পারেন না। সেটার এবং মডারেটর ছাড়া কোনো একটা প্রশ্নের একটা অক্ষরও এর বাইরে কারো দেখবার কোনো সুযোগ থাকে না।

দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় আমরা এত রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। বিজি প্রেসে প্রশ্ন ছাপা হয় বা প্রশ্ন যখন মডারেটর দেখেন বা প্রশ্ন সেটেল করেন- এরকম একেটা ধাপের কোনো একটা জায়গায় যদি কোনো একটি ছোট বিচ্যুতি হয় সেটা ডিটেক্ট হয় একেবারে পরীক্ষার হলে যখন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন হাতে পায় তখন। তার আগে ডিটেক্ট করার সুযোগ নেই। সেই কারণে এই ছোটখাটো সমস্যাগুলো থেকে যাচ্ছে। আমরা দেখি এটাও কী করে দূর করা যায়। এত সমস্যা যখন দূর করা যায় এটাও দূর করার একটা ব্যবস্থা বের করা যাবে নিশ্চয়ই।