• মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩০

  • || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

গত জুলাইয়ে বাসমতি ছাড়া অন্য সবধরনের চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বিশ্ববাজারে চালের দর বেড়ে গেছে। ভারতের এমন পদক্ষেপকে অপ্রয়োজনীয় বাধা উল্লেখ করে সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চাল রফতানি চালু করার জন্য ভারতকে আহ্বান জানায় এসব দেশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলা হয়, এতে চাহিদা রয়েছে এমন অঞ্চলে খাদ্যের যোগান বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া রফতানি বিধিনিষেধের কোনো আগাম বার্তা না দেওয়ারও সমালোচনা করা হয়। তবে এ বিষয়ে ভারত যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, চালের বাজারে ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে কোনো আগাম বার্তা দেওয়া হয়নি।

বুধবার মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ডব্লিউটিও সদস্যদের একটি গ্রুপ ভারতের চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করে। ভারতের সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড।

উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাল রফতানি করে ভারত। অভ্যন্তরীণ মজুত বাড়ানো ও উৎসবের মওসুমে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২০ জুলাই বাসমতি ছাড়া সব ধরনের চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নয়া দিল্লি। এতে চালের বিশ্ববাজারে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এই সিদ্ধান্তের কারণে ২০২২ সালের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমান সময়ে চালের দর বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

খাদ্য বাজারে চালের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে চাল অন্যতম প্রধান খাদ্য। এসব দেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডব্লিউটিও-র বৈঠকের বিষয়ে জেনেভাভিত্তিক এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের এ ধরনের পদক্ষেপে এই সংকটের সময় চাল আমদানিতে উপর বেশি নির্ভরশীল দেশগুলোর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাল রফতানির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।