• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে বেসরকারি খাত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২  

বেসরকারি খাতকে জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ভর্তুকিনীতি থেকে সরে আসার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা। এছাড়া নেয়া হচ্ছে বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় বাজারে জ্বালানির দাম সমন্বয়নের পদ্ধতি অনুসরণের উদ্যোগ। বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করবে সরকার। 

দেশে জ্বালানি তেলের একমাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি। রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানি তেল বাজারজাত করে। বিক্রিতে পরিপালন করে থাকে সরকারের ভর্তুকিনীতিও। এ কারণে লাভ-লোকসানের দায়ভার এককভাবে বহন করতে হয় বিপিসিকে। 

তবে, এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে বেসরকারি খাতও।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “ফুয়েল, এনার্জি ও পাওয়ারের প্রাইজ অ্যাডজাস্টমেন্টটা হওয়া উচিত মার্কেটের অ্যাভেলিটির উপর। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখছি যে, আমরা ওপেন মার্কেটে কবে নাগাদ যেতে পারি।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, জ্বালানি তেলের দায়ভার এককভাবে বিপিসির ওপর রাখতে চায় না সরকার। বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। 

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “তেলের দাম একসময় ছিল ৭০ ডলার, এখন ১৪০ ডলার। এই যে দাম বৃদ্ধি, সরকার এখানে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সমালোচিত হয়েছে। তবে বিপিসি এখনও লোকসানেই আছে।”

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় বাজারে প্রতিনিয়ত নির্ধারণ হবে জ্বালানি তেলের দাম। পদ্ধতিটি কিভাবে কার্যকর করা যায়, তা ঠিক করতে বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি মার্কেটের উপর ছেড়ে দেই তাহলে এটার দাম বাড়বে। এখানে একটা সুবিধা হলো, যখন কমবে তখন মার্কেট নিজেরাই দাম কমিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু প্রতিনিয়ত এখানে দাম বাড়াচ্ছি, কমাচ্ছি না এই প্রশ্নগুলো তখন আর থাকবে না। এরকম একটা পলিসি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রায় দেশই এই পলিসিতে চলে গেছে।”

এদিকে, উৎপাদনকদের কাছ থেকেও প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুৎ কিনতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে উৎপাদনকারিরা বিতরণকারী কোম্পানির কাছে কী দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে, তা দেখভাল করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “বিদ্যুৎ যারা উৎপাদন করবেন তারা ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে বিক্রি করবেন। ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কি দামে বিক্রি করবে সেগুলো রেগুলেট করবে রেগুলেটরি বোর্ড। এখানে ভর্তুকি থেকে আস্তে আস্তে সরে আসার প্রসঙ্গটা থাকবে।”

সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ভর্তুকি থাকবে না। পাশাপাশি বিপিসির লোকসান এড়ানোও সম্ভব হবে বলে আশা প্রতিমন্ত্রীর।