• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

আসবাবপত্র রপ্তানিতে ১১ কোটি ডলারের মাইলফলকে বাংলাদেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২  

রেকর্ড রপ্তানি আয়ের পেছনে বরাবরের মতোই নেতৃত্বের শীর্ষে ছিল পোশাক খাত। কিন্তু এর বাইরেও গত কয়েক বছরে বিশ্ববাজারে অবস্থান শক্ত করার দৌড়ে এগিয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্প। যাদের একটি ফার্নিচার বা আসবাবপত্র। এক রকম অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে এই খাত এখন সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে। ফলে, হাতুড়ি, বাঁটালের সেকেলে কর্মযজ্ঞ এখন রূপ নিয়েছে আধুনিক কারখানায়। তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের, টেকসই ও নান্দনিক সব পণ্য।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সব শেষ অর্থবছরে এই খাত থেকে এসেছে ১১ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার দেশীয় বাজারে আমদানি নির্ভরতা নেমেছে ১০ শতাংশের নিচে। আর কাজের সুযোগ হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের। বন্ড সুবিধা, করকাঠামো সংস্কার ও প্রণোদনা অব্যাহত থাকলে, এক দশকের মধ্যে আসবাবপত্র রপ্তানি কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। 

আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল বলেন, আমরা নিজেরাই যদি উৎপাদন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে। এবং দেশের মার্কেটগুলো একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাবে। এর মাধ্যমেই আমাদের সক্ষমতা তৈরি হবে। 

এই খাতের সাফল্য এখন সমাদৃত বিশ্ববাজারেও। যা স্পষ্ট সাম্প্রতিক রপ্তানি পরিসংখ্যানে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ অর্থবছরে এই খাত থেকে দেশে এসেছে ১১ কোটি ডলার। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আর এই আয়ের অর্ধেকের বেশি বা সাড়ে ৫ কোটি ডলার এসেছে আমেরিকা থেকে। তবে, অবাক করা তথ্য হলো, এক দশক আগেও আয় ছিল মাত্র ১ কোটি ডলার। 

বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কেএম আখতারুজ্জামান বলেন, বন্ড সুবিধা ৬০ শতাংশ পেয়ে গেলে আমরা প্রতিযোগিতার মার্কেটে যেতেও পারবো। এতে দ্রুতই নিজেদের উন্নয়ন ঘটবে।