• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ইভ্যালি অফিসে তালাবদ্ধ সিন্দুক-আলমারি ঘিরে রহস্য

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২১  

ইভ্যালি অফিসে তালাবদ্ধ দুটি সিন্দুক ও কয়েকটি আলমারি ঘিরে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত বোর্ড বলছে, এ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। এ ছাড়া বোর্ডের ধারণা, টাকা পাচারের জন্যই প্রতি মাসে দুবাই যেতেন রাসেল। ইভ্যালিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এদিকে মঙ্গলবারও ইভ্যালি অফিসের সামনে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দায়-দেনা-সম্পত্তি, অনিয়ম খতিয়ে দেখতে একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছিল দেশের উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার এই বোর্ডের সদস্যরা যায় ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে। করেন রুদ্ধদার বৈঠক।
 
বৈঠক সফল দাবি করে বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, অফিসে তালাবদ্ধ দুটি সিন্দুক ও কয়েকটি আলমারির সন্ধান মিলেছে। যা থেকে মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রতি মাসে ইভ্যালির এমডি রাসেলের দুবাই সফরের যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
 
ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ডের প্রধান অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা আঁচ করতে পারছি। এ ছাড়া সালাউদ্দিন সাহেব নিজে আন্দাজ করতে পেরেছেন যে সে দুবাই যেত টাকা পাচার করতে। দুটি সিন্দুক ও বেশ কয়েকটি আলমারি রয়েছে যেগুলো এখনো তালবদ্ধ করেছে। আমরা আশা করছি এ সিন্দুক থেকে অনেক মূল্যবাদ তথ্য পাওয়া যাবে।

বোর্ড জানায়, ইভ্যালির সম্পত্তি, দেনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। চেষ্টা করা হবে প্রতিষ্ঠানটিকে চালু রাখার। না পারলে করা হবে বিলুপ্ত।
 
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এটা চালিয়ে যাওয়া উচিত কারণ, এখানে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকার বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। তাদের সেই প্রতারণার পয়সা ফেরত দেওয়া আমাদের একটি আইনি দায়িত্ব। এদিকে বোর্ড যখন মিটিং করছিল তখন কার্যালয়ের বাইরে মানববন্ধন করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।