• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পরীক্ষামূলক উৎপাদনে দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩  

কক্সবাজারে নির্মিতব্য দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস বায়ু। বাংলাদেশের মোট ৭২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র। এখানে দূষণমুক্ত শক্তিটি উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দেশে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ বা ক্লিন এনার্জির ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য এগিয়ে এসেছে সরকার।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপকূলবর্তী ৩টি ইউনিয়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ২২টি টারবাইন। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ১০টি। যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৩ মেগাওয়াট।

পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি টারবাইনে উৎপাদিত ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্ত হবে জাতীয় গ্রীডে। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরে যুক্ত হবে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি লিমিটেড।

প্রকল্প কর্মকর্তা ইউএস-ডিকে গ্রীন এনার্জি লিমিটেডের পরিচালক সাজিদ রহমান বলেন, বায়ু বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি সবরাহের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার উন্নয়ন সাধনও করছে।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম খান বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে পুরো প্রকল্পের কাজ। এ ছাড়াও এটি সম্প্রসারণ করে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চলমান প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগেই অনুমোদন পেয়ে গেলে সেটির কাজও শুরু করা হবে।

এদিকে সফল প্রকল্প হওয়ায় সরকার প্রস্তাবটি বিবেচনায় নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রথম সফল টারবাইনভিত্তিক প্রকল্প। খুরুশকুলের এই প্রকল্পে আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে।