• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর যে সম্ভাব্য অবদানগুলো জানালো আইএমইডি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

বর্তমান সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলো নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। তাদের গবেষণায় নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে- এই সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় কমার পাশাপাশি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ‍ভূমিকা রাখবে।

আইএমইডির গবেষণায় পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রাখতে যাচ্ছে সেগুলো হলো-

১। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কমে যাবে।

২। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কাঁচামাল সরবরাহ এবং শিল্পায়ন সহজতর করতে সহায়তা করবে।

৩। ২১ জেলায় গড়ে উঠবে ছোট-বড় শিল্প। কৃষির ব্যাপক উন্নতি হবে। কৃষকরা পণ্যের দাম ভালো পাবেন ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

৪। দক্ষিণের জেলাসমূহের বার্ষিক জিডিপি ২.০ শতাংশ এবং দেশের সামগ্রিক জিডিপি ১.২ শতাংশের বেশি বাড়াতে সাহায্য করবে

৫। সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোর উন্নতি হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে (N-8) এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

৬। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। সেতুর দুই পাশে গড়ে তোলা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক ও বেসরকারি শিল্প শহর। ফলস্বরূপ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

৭। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর নতুন উদ্যমে চালু থাকবে।

৮। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত,সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ,টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার, মাওয়া ও জাজিরায় পুরনো-নতুন রিসোর্টসহ নতুন-পুরনো পর্যটনকেন্দ্রগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।  এবং

৯। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা প্রতি বছর ৭-৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ৬৭ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।