• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মেট্রোরেলের আরও দুই ট্রেন দেশে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন সেটের পর দেশে এসেছে মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেন সেট। সেগুলো মোংলা থেকে এখন ঢাকায় আসার অপেক্ষায়।

ট্রেন দুটির সেট গত মঙ্গলবার মোংলা সমূদ্রবন্দরে পৌঁছায় বলে শনিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ মেট্রো ট্রেন সেট ২২ জুন জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর হতে জাহাজযোগে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। ২০ জুলাই মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। ওই দিনই উভয় মেট্রো ট্রেন সেট মোংলা বন্দরে নামানো সম্পন্ন হয়।

‘শুল্ক ও ভ্যাট সম্পর্কিত কার্যাদি শেষে বার্জ যোগে মেট্রো ট্রেন সেট দুটি নদী পথে আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকার উত্তরাস্থ ডিএমটিসিএল ডিপোতে এসে পৌঁছাবে।’

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় আসার পর দুটি ট্রেনের সেট কয়েক দফা পরীক্ষার পর সংযুক্ত করা হবে। জাপান ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা এসব কাজ সম্পন্ন করবেন।

সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে প্রতিটি কোচের ভেতরে দুই সারিতে সবুজ রঙের লম্বা আসন পাতা রয়েছে। যাত্রীদের দাঁড়ানোর জন্য মাঝখানে যথেষ্ট জায়গা রাখা হয়েছে। দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য ওপরের দিকে হাতল রয়েছে। ট্রেনের উচ্চতা এমন যে স্টেশনে থামার পর এটি একেবারে প্ল্যাটফর্মের সমতলে থাকবে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল মেট্রোরেলের প্রথম এক সেট ট্রেন ঢাকায় আসে। বাংলাদেশের প্রথম বিদুৎচালিত এই ট্রেন ১২ মে উত্তরা ডিপোর ভেতরে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০০ মিটার লাইনে চালানো হয়। এরপর ১ জুন ছয় কোচের দ্বিতীয় ট্রেন সেট ঢাকায় আসে।

ঢাকার মেট্রোরেলের জন্য জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে মোট ২৪ সেট ট্রেন বানানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় ২০১৭ সালে। কোম্পানিটি গত বছরের ডিসেম্বরে পাঁচ সেট ট্রেন নির্মাণ করেছে।

দুপাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে।

রাজধানীর যানজট কমাতে ২০১৩ সালে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা করা হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি নামে পরিচিত মেট্রোরেলের লাইন প্রথমে তিনটির পরিকল্পনা করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে পাঁচটি করা হয়।

মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য বেছে নেয়া হয় এমআরটি লাইন-৬ কে, যার আনুষ্ঠানিক নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা।