• শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩০

  • || ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ফেসবুকে আইডি খুলে আত্মীয় সেজে প্রতারণা, হাতিয়ে নেয় লাখ টাকা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩  

হাবিব নামে এক ব্যক্তির আত্মীয় থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। হঠাৎ তিনি ফেসবুকে হাবিবকে নক করেন। বলেন, ‘আমি ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশে আসছি। এখন প্লেনে আছি। প্লেনের ওয়াইফাই ব্যবহার করে নক দিয়েছি। আমি চট্টগ্রাম-ঢাকার চারটি এয়ার টিকিট বুকিং করছি। প্লেন থেকে টাকা দিতে পারছি না। আপনাকে একটি এজেন্সির বিকাশ নম্বর দিচ্ছি, সে নম্বরে ১৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে টিকিটগুলো কনফার্ম করে দেন।’

আত্মীয়র নামে থাকা আইডির কথা মতো ওই বিকাশ নম্বরে ১৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন হাবিব। এরপরই ঘটে আসল ঘটনা। টাকা পাঠানোর পর এক সময় আইডি থেকে সব মেসেজ মুছে দেওয়া হয়। এতে সন্দেহ হয় হাবিবের। পরে তিনি একই নামে তার আত্মীয়র আরেক আইডিতে নক দিয়ে জানতে পারেন যে, অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন তিনি। তার সঙ্গে যে আইডিতে কথা হয় সেটি ছিল ভুয়া। আর এভাবেই প্রতারণা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা।

ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৪ আগস্ট ডিএমপির রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন হাবিব। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মো. মিজানুর রহমান (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সম্প্রতি রংপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি জানায়, গ্রেফতার মিজানুর আগে মোবাইল অপারেটর রবির সিম বিক্রি করতেন। সেই কাজ চলে গেলে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ভাঙারির দোকান চালান। এরই মধ্যে প্লেনের টিকিট নিয়ে প্রতারণা শুরু করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এসব তথ্য জানান ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সাইফুল রহমান আজাদ।

jagonews24

তিনি জানান, অভিযুক্ত মিজানুর অস্ট্রেলিয়ান ওই প্রবাসীর ফেসবুক আইডি থেকে ছবি ডাউনলোড করে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেন। গত এপ্রিল মাসে ওই আইডি থেকে আত্মীয় সেজে হাবিবকে মেসেজ দিয়ে প্লেনের টিকিটের জন্য টাকা চান। ওই ভুয়া আইডিকে আত্মীয় মনে করে বিকাশ নম্বরে ১৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন হাবিব।

২৯ এপ্রিল আত্মীয় পরিচয়ধারী আইডির সব মেসেজ ডিলিট দেখতে পেয়ে হাবিবের মনে সন্দেহ হয়। তখন তিনি তার আত্মীয়র আসল আইডিতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, তিনি অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন।

যেভাবে প্রতারক হয়ে উঠেন মিজানুর-

এডিসি আজাদ আরও বলেন, গ্রেফতার মিজানুরের টার্গেট ছিল প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজন ও তাদের বন্ধুরা। টার্গেট ব্যক্তিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি খোলেন মিজানুর। আবার কখনো কখনো তাদের অ্যাকাউন্টও হ্যাক করেন। পরে টার্গেট ব্যক্তির পরিচিতজনদের প্লেনের টিকিট কনফার্ম করতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে মেসেজ দেন। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন মিজানুর।