• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ভিন্ন কৌশলে প্রতারণা, গ্রেফতার ৩

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩  

একজন ইমোতে স্টিকার পাঠিয়ে কৌশলে ফাঁদ তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেন, আরেকজন মুদি দোকানি হলেও সাজেন বিকাশ কর্মকর্তা। আর অপরজন একজনের সিম রেজিস্ট্রেশন করান অন্যের নামে। এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেন তিন প্রতারক। শনিবার (২৭ মে) নাটোরের লালপুর ও রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন হলেন মো. রাজন আলী (২২), রন্জু আহম্মেদ (২২) ও মো. ফজলে রাব্বি (২০)।

রোববার (২৮ মে) এসব তথ্য জানান মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, সাহায্যের নামে বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন ইমো রাজন। নাম রাজন হলেও এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ইমো রাজন নামে। তিনি অভিনব উপায়ে ইমোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। বিভিন্ন নামে ইমোতে অনেকগুলো গ্রুপ খোলেন। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্যই এসব গ্রুপ খোলা হয়। এই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর সদস্যদের টার্গেট করা হয়। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠানো হয়। এত বিপুল পরিমাণ ম্যাসেজ আসার এক পর্যায়ে ওই নাম্বার হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই ‘সমস্যা’ সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢোকার অনুমতি চান। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও প্রবেশাধিকার পায়।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন আরও জানান, ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে ‘আমি বিপদে পরেছি, টাকা পাঠান’, মা অসুস্থ, টাকা পাঠান’ জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।

তিনি আরও জানান, পেশায় মুদি দোকানদার রনজু আহম্মেদ। কিন্তু তিনি বিকাশে প্রতারণা করেন। দোকানে বসেই বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আর মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি। সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেন।