• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

আ’লীগ নেতাকে হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩  

২০১৩ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার (২৮ মে) রাজধানীর বংশালে অভিযান চালিয়ে আসামি তাজুল ইসলাম তানুকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

বিকেলে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক আতিক উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও সভাপতির পদ নিয়ে আরেক আসামি গুলজারের বিরোধ চলছিল। গুলজার বেশ কয়েকবার আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকিও দেন। আতিক উল্লাহ চৌধুরী তার কথায় কোনো কর্ণপাত না করলে গুলজার ও তাজুল ইসলাম তানু মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তানুর পরিকল্পনা অনুযায়ী গুলজার আতিক উল্লাহ চৌধুরীর গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য সম্পা নামক এক নারীকে নিয়োগ করেন।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পা তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য কোন্ডা হাসপাতালের গেটে আসতে বলেন। আতিক হাসপাতাল গেটে আসামাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা গুলজার ও তানু আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে রিকশা থেকে নামিয়ে হাসপাতালের দক্ষিণ সীমানা বরাবর রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে তানুর নেতৃত্বে ভাড়াটে খুনি মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মো. আসিফর হাতে তুলে দেন। তারা মুখ চেপে ধরে কোলে করে তাকে হাসপাতালের পশ্চিম পাশের সীমানা ঘেঁষা নিচু জমিতে নিয়ে যান।

সেখানে নিয়ে আতিক উল্লাহর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে মুখ বেঁধে অন্যান্য আসামির সহায়তায় তানু মুখ চেপে ধরে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে পরিচয় গোপন করা জন্য তানুর নির্দেশে আসামিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেট্রল আতিক উল্লাহর মরদেহে ছিটিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পালিয়ে যান।

র‌্যাব কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেফতার তানু ঘটনার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ১টি অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।