• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২১ দিনে নিহত ১১

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ-মুক্তিপণ, হামলা-হত্যাকাণ্ডে অস্থির হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মার্চ মাসের ২১ দিনেই নিহত হয়েছেন ১১ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে খুন হয়েছেন ৯ জন ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুইজন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে উখিয়ার তাজনিমারখোলা এলাকার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ৫-৬ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ১৩ নম্বর ক্যাম্পে হামলা চালায়। ঐ সময় রফিক নামে ২ জন ও ইয়াছিন নামে একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে তারা। এতে মো. রফিকের বুকে গুলি লাগে। আরেকজনের চোখের উপরে গুলি লেগে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। ঐ ঘটনায় দুজনই নিহত হন এবং ইয়াসিনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান জোরদার করেছে এপিবিএন ও জেলা পুলিশ।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ বলছে, গত ৩ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক। আধিপত্য বিস্তারের জেরেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন।

১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) ৩টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও ১৪টি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান ও অপহরণকে কেন্দ্র করে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ পর্যন্ত কয়েকশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, এপিবিএন, র‍্যাবের বেশ কয়েকটি টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।