• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ, ৬ আসামি রিমান্ডে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় ছয় আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ওই মামলার অন্য চার আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে তারা কোনো বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেবেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- রতন, মান্নান, জীবন, দ্বীপ, বাবু ও সোহাগ।

জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়া আসামিরা হলেন- আসলাম, রাসেল, আলাউদ্দিন এবং নাইম।

তানবীর আহম্মদ জানান, বিকেলে আসামিদের আদালতে আনা হয়। আদালতে ছয় আসামির সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ডিবি উত্তর) মো. হেলাল উদ্দিন গত সোমবার রাতে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে আসামিদের ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসেন।

গত ৩ আগস্ট ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেলে বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা করেন। ৪ আগস্ট ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রাজার দেওয়া তথ্যের পরদিন শুক্রবার ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও সোহাগপল্লী থেকে মো. আউয়াল (৩০) ও নুরনবী (২৬) নামের আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিন আসামী শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে ওই তিনজন কারাগারে রয়েছেন। রোববার রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরও ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।