• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

টার্গেটই ছিল ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের ধরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১  

গায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, কোমরে পিস্তল ও ওয়াকিটকি আর হাতে হাতকড়া। পরিচয় দিচ্ছে কখনো র‌্যাব, কখনো ডিবি অথবা অন্য কোনো বাহিনীর। প্রকাশ্যেই তুলে নিচ্ছে টার্গেট ব্যক্তিকে। ছিনিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি ছিনতাই বেড়েই চলেছে। চলতি বছর শুধু রাজধানীতেই ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়া শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনকারীই তাদের প্রধান টার্গেট। ব্যাংকের ভেতরে থাকে একজন, বাইরে একাধিক সদস্য। টার্গেট ব্যক্তি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। পরিচয় দেওয়া হয় র‌্যাব অথবা গোয়েন্দা পুলিশের। রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়।
 
বেশির ভাগ সময়ই ছিনতাই বা ডাকাতির পর ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কখনো আবার ডাকাতির প্রস্তুতিকালেও পাকড়াও হতে দেখা যায়। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে। এরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল।
 
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) রিফাত রহমান শামীম বলেন, তারা যখন ডাকাতি করতে যাচ্ছিল তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা মূলত ব্যাংককে টার্গেট করে। যারা মূলত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে তাদের। যার বেশি বুদ্ধি এবং আধুনিক চলাফেরায় তাদের একজনকে তারা ব্যাংকের ভেতরে পাঠায়, যেন কেউ সন্দেহ না করতে পারে। এরপর ওই ব্যক্তি লক্ষ্য করে কে টাকা তুলছে। তারপর টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তির সঙ্গে বের হয়ে আসে। তারপর তারা তাকে ধরে। এভাবে তারা কাজটি করে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে।
   
অধিকাংশ সময় এদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। বাহিনীর পোশাকটিও সত্যিকারের নয়। যদিও এসব দেখে সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল নকলের ফারাক করা কঠিন। তবে মাঝে মাঝে সত্যিকারের আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে থাকে তারা।
 
রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে রীতিমতো তল্লাশি চালানোরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে তারা বেছে নেয় রাজধানী ও আশপাশের জেলা শহরের নির্জন রাস্তা। অথচ ডিবি পুলিশ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চেক পোস্ট বসায় না। চলতি বছরেই এরকম ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত একশো জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরেও থামছে না তাদের দৌড়াত্ম্য।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, আমরা যখন অভিযানে যেই তখন লম্বা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ওইসময় সবার জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক তাকে। যারা ভূয়া ডিবি থাকে তারা সাধারণত নকল ওয়াকিটকি ব্যবহার করে কিংবা খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে থাকে।  জনগণের সচেতনতার প্রয়োজন আছে।
   
এ চক্রের সদস্যরা সবাই পেশাদার অপরাধী। জামিনে বের হয়ে তারা আবারও জড়িয়ে পড়ে একই পেশায়।