• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দিনমজুর নুরুল এখন ‘সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার’ মালিক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

দালালীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া টেকনাফ বন্দরের সাবেক চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলাম (৪১)’কে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করেছে র‌্যাব। কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দিনে ১৩০ টাকা বেতনে চাকরি করতেন নুরুল ইসলাম। আর এখন সে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নুরুল ইসলাম বন্দরে কর্মরত থাকাকালীন তার অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবার, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস ও দালালির কৌশল রপ্ত করে। প্রায় ৮ বছর পর চাকরি ছেড়ে নিজেই দালালির সিন্ডিকেট তৈরি করেন। গত ২০ বছরে সে সম্পদের পাহাড় গড়ে।

তিনি বলেন, নুরুল নিজের লোককে তার পদে বসিয়ে ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বন্দর এলাকায় দালালির কার্যক্রমের প্রসার ঘটায়। চিহ্নিত ১০-১৫ জন সদস্যকে নিয়ে নুরুল পণ্য খালাস, পরিবহন সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পথিমধ্যে অবৈধ মালামাল খালাসে সক্রিয় থাকত। একই সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে কাঠ, শুটকি মাছ, বরইয়ের আচার, মাছের চালান রপ্তানির আড়ালে মাদকসহ অবৈধ পণ্য নিয়ে আসত।

র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, টেকনাফ বন্দর, ট্রাক স্ট্যান্ড, বন্দরের শ্রমিকদের ও জাহাজের আগমন-বর্হিগমনও নুরুলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপার্জিত কোটি কোটি টাকাকে হালাল করতে এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল স্টেট লিমিটেড এবং এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান গড়িয়ে তুলে নুরুল।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঢাকা শহরে তার ছয়টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট ছাড়াও সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে ৩৭টি বাড়ি, খোলা জায়গা-প্লট ও বাগানবাড়ি এবং ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য মিলেছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।

‘অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৪৬০ কোটি টাকা’ জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, নুরুল এখন জাহাজ শিল্প ও ঢাকার কাছে একটি বিনোদন পার্কে বিনিয়োগ করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।