• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

চাকরির প্রলোভনে চক্রটি হাতিয়ে নিলো কোটি টাকা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

একটি বাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরির পর মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল একটি প্রতারক চক্র। চাকরি পেতে হলে বাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে থাকা ব্যক্তিদের ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে চাকরিপ্রত্যাশীদের জানান চক্রটি। এরপর ভুয়া নিয়োগপত্র বানিয়ে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করা হতো। এমনই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা- মো. কামরুজ্জামান (৩৩) ও মো. নাজির হোসেন (৩২)। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য র‌্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের সদস্য নাজির হোসেনকে ও গাজীপুর থেকে চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার দুজন দীর্ঘদিন ধরে একটি বাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে সাধারণ ও নিরীহ জনগণকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস আরও বলেন, গ্রেফতার দুজন পরস্পর বন্ধু। নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। তিনি সুকৌশলে সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভিক্টিমের বিশ্বস্ততা অর্জনের পর তিনি তার বন্ধু গ্রেফতার কামরুজ্জামানকে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কামরুজ্জামান চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এর আগে তিনি বহু লোককে ওই বাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। তবে চাকরি পেতে হলে বাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকেন তাদের ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে একটি চুক্তিনামার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা আদায় করা হতো।

তিনি জানান, এরপর চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র নেয়ার পর প্রার্থীকে জানানো হয়, ‘আপনাকে একটি পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে নিয়োগপত্র পেতে আরও দুই লাখ টাকা দিতে হবে।’

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এভাবে চক্রটি ধাপে ধাপে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। এক পর্যায়ে চাকরিপ্রার্থীকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে চক্রটি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়েছে।