• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানো : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি নিউজউইকে নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পর্যটন নগরীতে পৌঁছাল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মেয়র হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন

সাহেদ-কালামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ অক্টোবর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।

হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও পরবর্তী সময়ে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। ঐ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২২ সালের ১২ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন।