• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানো : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি নিউজউইকে নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পর্যটন নগরীতে পৌঁছাল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মেয়র হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন

অপহরণের মিথ্যা মামলা: বাদীসহ দুইজনের কারাদণ্ড

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

অপহরণের মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় বাদী আজম ও তার সহযোগী মিরাজ হোসেনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলামের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামি আজমের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আবু সাঈদ ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল হাজারীবাগ থানাধীন মাজার রোডের বড় মসজিদ মাতৃপিঠ স্কুলের উদ্দেশ্য বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। এরপর অপহরণকারীরা আজমকে ফোন করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে উল্লেখ করে হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন আজম।

মামলা দায়েরের পর আফজাল হোসেন মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (দক্ষিণ) সাব-ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন এ দুই আসামিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ করে খুন করেছে মর্মে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন।

মামলাটি তদন্ত করে আফজাল, তার বোন সোনিয়া, সাইফুল ও শাহিনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সাব-ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন। পরের বছর ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২০১৯ সালে আবু সাইদকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আসামিরা রায়ে খালাস পান।

মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর কথিত অপহরণ হওয়া আবু সাঈদ, তার বাবা আজম, মা মাহিনুর বেগমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন প্রথমে গ্রেফতার হওয়া আসামি আফজালের বোন সোনিয়া। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদী হাজারীবাগের বটতলার বাসিন্দা মিরাজ হোসেন (৩০) এর সহিত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক ২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর জানতে পারি যে, সে আগে একটি বিবাহ করেছে, যা আমাদের পরিবারের নিকট গোপন রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের পর বিবাদী আমাকে আমার পিতার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

পরবর্তীতে হাজারীবাগ থানায় কথিত ভিকটিম আবু সাঈদ হারোনোর বিষয়ে একটি জিডি হয়। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৭ জুলাই হাজারীবাগ থানায় একটি নারী শিশু অপহরণ মামলা রুজু হয়।

উক্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বাদী বর্তমান আসামি মো. আজম (৪৩), তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪০), মো. খলিলুর রহমান (৫৫), মো. দুলাল (৪৫), আজমের ছেলে কথিত অপহরণ হওয়া মো. আবু সাঈদ (১৮), মো. আব্দুল জব্বার (৪২) পরস্পর যোগসাজসে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরপর এ মামলায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আজম ও মিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অপর সাত আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আজম ও মিরাজ নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।