• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২১  

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং এমডি মো. রাসেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে তারা যেন বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছিল দুদক। এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক যখন জানলো তারা বিদেশ চলে যেতে পারেন তখন দুদক ব্যবস্থা নেয়। তখন এখতিয়ার সম্পন্ন কোর্ট খোলা ছিল না। বৃহস্পতিবার এখতিয়ার সম্পন্ন কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ এসেছে।  

দুদক সূত্রে জানায়, অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় গত ৮ জুলাই  ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি।

গত ৮ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির দুই কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, গ্রাহক ও মার্চেন্টের টাকাগুলো আত্মসাৎ অথবা পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

ইভ্যালির বিষয়ে ইতোপূর্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। সদস্যের টিমের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অনুবিভাগ থেকে নতুন প্রাপ্ত অভিযোগটি পূর্বের অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম গতিশীল হবে বলে দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, দুদকের একজন সহকারী পরিচালক ও একজন উপসহকারী পরিচালককে ইভ্যালির দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। এ সময় গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল নেওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।