• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

অনাবাদী জমিতে ভূট্টা চাষে বিপ্লবের সম্ভাবনা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় অনাবাদী গোচারণ ভূমিতে ভূট্টা চাষে বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত দুই বছরে লাখাইয়ের হাওরে এ ফসলের চাষ বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ। আগামী বছর আরও বাড়বে বলে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাইয়ের বিভিন্ন স্থানে গোচারণ ভূমিতে কিছু বাদাম চাষ হতো। দু’বছর আগে সেখানে কৃষকদের ভূট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

প্রথমবার ৭ হেক্টর জমিতে ভূট্টার হলেও উৎপাদিত সফলের বাজারজাতে সমস্যা দেখা দেয়। তবে পাশের এলাকা কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবের পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান হলে আগ্রহ বাড়ে চাষিদের।

চলতি বছর উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের কামালপুর ও স্বজনগ্রাম এলাকায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা প্রথম বছরের তুলনায় ১১ গুণেরও বেশি। এবার ফলনও ভাল হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা বেশ মুনফা অর্জন করতে পারবেন।

ভূট্টা চাষী মো. আব্দুর রউফ, আলমগীর, সোহেল মিয়া, জগবন্ধু দাস এবং বিপুল সূত্রধর জানান, কাঁচা অবস্থায় ভূট্টার গাছ গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

ভূট্টার আরও বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে। যেমন- কাঁচা পুড়িয়ে খাওয়া, খৈ তৈরি করা, গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির খাদ্য এবং বড় বড় রেস্টুরেন্টে স্যুপ তৈরি করা হয়। এ খাবারটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এছাড়া গ্রামীণ জ্বালানীর সংকট দূর করতেও ভূট্টা অতুলনীয়।

লাখাইয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য বলেন, ভূট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চলছে। আগামী দিনে এর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ১০ থেকে ১১ টন ভূট্টা উৎপাদন হয়। প্রতি কেজির দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

ভূট্টার চাষ প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, এতে তেমন কোনো খরচ নেই। বীজ রোপনের পর দুইবার সেচ দিলেই চলে। লাখাই উপজেলায় সেচের ক্ষেত্রেও তেমন কোনো অসুবিধা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।