• বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

মাদারীপুর দর্পন

আশ্রয়হারা ৬ হাজার শিশুর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন- ইউনিসেফ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশ্রয় হারানো শরণার্থীদের মধ্যে ছয় হাজার শিশুর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

সোমবার (৬ মার্চ) ইউনিসেফের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে শেলডন ইয়েট বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববারের (৬ মার্চ) আগুনে ১২ হাজার শরণার্থী আশ্রয় হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে অর্ধেক শিশু। যাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এছাড়া যারা আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ছুটে এসে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

যদিও প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ছয় হাজার শিশুর এখন জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। এ ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে কাজ করেছে ইউনিসেফ ও আমাদের অংশীজনেরা।

তিনি বলেন, ‘দুটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়েছে। আহতদের জরুরি চিকিৎসায় কাজ করে যাচ্ছে তারা। একই সময়ে, আশ্রয় হারানো শিশুরা মনোসামাজিক সহায়তা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যারা হট্টগোলের মধ্যে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে।

‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী— আগুনে দুই হাজার আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিপুল সংখ্যক সেবাকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। ওইসব সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে শরণার্থী শিশু ও তাদের পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেওয়া হতো। এর মধ্যে রয়েছে ২০টির বেশি শিক্ষাকেন্দ্র, অন্তত একটি পুষ্টিকেন্দ্র এবং বেশ কিছু স্যানিটেশন স্থাপনা।

শেলডন ইয়েট বলেন, ‘ইউনিসেফের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো, এ সেবাকেন্দ্রগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা, যাতে শিশুরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে এবং অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও স্যানিটেশন সেবা পেতে পারে। আমরা আন্তরিকভাবে সেই সব রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছি, যারা নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর আরও গৃহহীন হয়ে পড়েছে।’