বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আ. লীগের নেতারা কী করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের এই সময়কার নেতারা তখন কী করেছিলেন, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট ওই লাশগুলো ধানমন্ডিতে পড়ে ছিল। কেউ তো একটা কথা বলার সাহস পায়নি। আমাদের নেতারাও তো এখানে আছেন। জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিলেন। কী করেছিলেন তারা? বেঁচে থাকলে সবাই থাকেন। মরে গেলে যে কেউ থাকে না, এটা তার জীবন্ত প্রমাণ। এ জন্য আমিও কিছু আশা করি না।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ওই লাশগুলো তো পড়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কত স্লোগান! বঙ্গবন্ধু তুমি আছো যেখানে, আমরা আছি সেখানে—অনেক স্লোগান তো ছিল। কোথায় ছিল সেই মানুষগুলো? একটি মানুষও ছিল না, সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষ ছিল না প্রতিবাদ করার? কেন করতে পারেনি? এত বড় সংগঠন, এত সমর্থক। এত লোক। কেউ তো একটা কথা বলার সাহস পায়নি।’
আজকে যারা মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর তারা কোথায় ছিল, সেই প্রশ্ন রেখে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে যারা চারদিকে অনেক সোচ্চার হন, মানবাধিকারের কথা বলা হয়, আমাদের সরকারকে মানবাধিকারের ব্যাপারে প্রশ্ন করে। তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা—১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? আমাদের মানবাধিকার যে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার বোন বাবা-মা হারিয়েছি। আমরা মামলা করতে পারবো না। আমি বিচার চাইতে পারবো না। কেন? আমরা বাংলাদেশের নাগরিক না? আমি ও আমার বোন বিদেশে ছিলাম, বেঁচে গিয়েছিলাম ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত থেকে। এ বাঁচা কত যন্ত্রণার বাঁচা, যারা এভাবে বাঁচে তারাই জানে।’
আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বকে বিএনপির লালন-পালনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, আমাদের মানবাধিকার কোথায়? তার কি জবাব আমরা পাবো? যারা খুনিদের লালন-পালন করলো, অর্থাৎ যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, খুনি, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, তাদের মানবাধিকার নিয়ে এরা ব্যস্ত। তারা বিএনপির মদতদাতা। লালন-পালনকারী। তাদের তারা লালন-পালন করে।’
১৯৯৬ সালে যদি সরকার গঠন করতে না পারতাম, যদি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করতে না পারতাম—এই হত্যার বিচার কোনোদিনও হতো না। বারবার বাধা এসেছে। এমনকি বক্তৃতায় বিচার চাওয়ার কথা বলতে গিয়েও বাধা পেয়েছি যে এই কথা বললে নাকি কোনোদিন ক্ষমতায়ই যেতে পারবো না। এরকমও আমাকে শুনতে হয়েছে। আমি বাধা মানিনি। এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছি। দেশে-বিদেশে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। সর্বপ্রথম এই হত্যার প্রতিবাদ করে বক্তব্য দিয়েছে রেহানা। ১৯৭৯ সালে সুইডেনে। এরপর আমি ১৯৮০ সালে (ভারত থেকে ইউরোপ) বিদেশে গিয়েছি। একটি কমিশন গঠন করেছি। চেষ্টা করেছি। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর জনমত সৃষ্টি করেছি। কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমার বাবার নামে, মায়ের নামে, ভাইয়ের নামে- মিথ্যা অপপ্রচার। কোথায় সেগুলো।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। যেটা স্বাধীনতার পরেও চলেছে। এত বাধা। পাটের গুদামে আগুন, থানা লুট, নানাভাবে ব্যতিব্যস্ত করা। নগদ অর্থ দিয়ে কেনা খাদ্যের জাহাজ ঘুরিয়ে দিয়ে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ ঘটানো, সবই তো চক্রান্ত ছিল। মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। শত বাধা দিয়েও যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন ঠেকানো যায়নি, এত কিছু করেও যখন পারেনি, তারপর যখন দেখলো—বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তখনই এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে দিলো। মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করা হলো।’
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সঠিকভাবে দাফন-কাফন পায়নি উল্লেখ করে আক্ষেপ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গেলো টুঙ্গিপাড়ায়। কারণ, দুর্গম পথ, যেতে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কেউ যেতে পারবে না। কাজেই সেখানে নিয়ে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে মাটি দিয়ে আসে। সেখানকার মৌলভী সাহেব আপত্তি করেছিলেন যে আমি গোসল দেবো। কাফন-দাফন। (বঙ্গবন্ধু) কিছু নিয়ে যাননি, শুধু দিয়ে গেছেন। একটি দেশ দিয়ে গেছেন। একটি জাতি দিয়ে গেছেন। আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে উন্নয়নের পথে যাত্রা করিয়ে দিয়ে গেছেন। কিছুই নিয়ে যাননি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে। বাংলাদেশের গরিব মানুষের যে রিলিফের কাপড় তিনি দিতে পারতেন, সেই রিলিফের কাপড়ের পাড় ছিল, সেটা দিয়েই তাঁকে কাফন দেওয়া হয়েছিল। আমার বাবা-মা-ভাইয়েরা কেউ কিছু নিয়ে যায়নি।’
জানাজা ছাড়াই মা-ভাইসহ অন্যদের লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৬ তারিখে সব লাশ বনানীতে নিয়ে মাটিচাপা দিয়ে দাফন করা হয়েছিল। মুসলমান হিসেবে যে এতটুকু দাবি থাকে জানাজা পড়ানোর, সেটাও পড়েনি। কাফনের কাপড় সেটাও দেয়নি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ইসলামি কোনও বিধি তারা মানেনি।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার একটাই কথা—দুঃখী মানুষের হাসি ফোটাবেন বলে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তাই আমার একটাই প্রচেষ্টা সব সহ্য করে নীলকণ্ঠ হয়ে অপেক্ষা করেছি, কবে ক্ষমতায় যেতে পারবো। আর এই দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো। তাহলে এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে ফিরে বিচার চাইতে পারেননি উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি দেশে ফিরে এসেও তো বিচার করতে পারিনি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছি, আর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়েছি। এই সময় কতবার হাইকোর্টে গিয়েছি। আদালতে গিয়েছি। বক্তৃতা করেছি। আমাদের তো মামলা করারও অধিকার ছিল না। ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের (খুনিদের) পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। খুনিদের রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান নিজে উদ্যোগী হয়ে লিবিয়াতে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভুট্টোকে অনুরোধ করে তার মাধ্যমে গাদ্দাফির সঙ্গে কথা বলে এই খুনিদের লিবিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করে পুরস্কৃত করেছে। সে যদি খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী না হয়, তাহলে খুনি মোশতাক তাকে সেনাপ্রধান করবে কেন? আর সে এই খুনিদের কেন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেবে।’
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত