• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সুশীল বাবু মইনুল খুনিদের নিয়ে দল গঠন করে: প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২  

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক কথা বলেন। আইনজীবী, সুধীসমাজ, সুশীল বাবু—তিনি কী করেছিলেন? ওই খুনি পাশা ও হুদাকে নিয়ে তিনি একটি রাজনৈতিক দল করেছিলেন—প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি (প্রগশ)। জেনারেল এরশাদ এসে ওই খুনি ফারুককে দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করায়। খালেদা জিয়া তো আরও একধাপ ওপরে গিয়ে খুনি ফারুক, রশীদ ও হুদাকে নির্বাচনে প্রার্থী করে। ফারুককে জিতাতে পারেনি।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে রশীদ ও হুদাকে নির্বাচিত ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা বানায়। এরা কী করে অস্বীকার করবে যে এই হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।’

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম বলেই অনেক বাধা পেরিয়ে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কারা সেদিন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোন কোন আইনজীবী, সেটা খোঁজ করে দেখুন। আমরা খুনিদের বিচারের আওতায় আনি। যেদিন বিচারের রায় হবে, বিএনপি হরতাল ডেকেছিল খুনিদের বাঁচাতে। কিন্তু সাহসী বিচারক গোলাম রসুল সেদিন কোর্টে গিয়ে বিচারের রায় ঘোষণা করেন। খুনিদের ফাঁসির হুকুম দেন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আবার সব বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়। বিচারপতিরা বিব্রতবোধ করেন। প্রধান বিচারপতি তোফাজ্জল সাহেবের রায়ে খুনিদের ফাঁসি হয়। সেই রায় আমরা কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে আমাদের ওপর স্যাংশন দেয়, তারা তো খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। আমেরিকার সঙ্গে আমরা বারবার কথা বলেছি। কিন্তু এখনও তাকে দিচ্ছে না। তাকে তারা লালন-পালন করে রেখে দিচ্ছে। নূর কানাডায়। এদের থেকে আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। তারা আমাদের মানবতার ছবক শেখায়, যারা আমার বাবা-মা-ভাই-নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, তাদের রক্ষা করে। রশীদ লিবিয়ায় পড়ে থাকে। মাঝে মধ্যে পাকিস্তানে যায়। ডালিম পাকিস্তানের লাহোরে আছে, এটুকু জানি। কিন্তু খুব বেশি খবর পাওয়া যাচ্ছে না। মোসলেম উদ্দীন ইন্ডিয়ার আসামের কোনও অঞ্চলে ছিল, বহু চেষ্টা করেছি, খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরা নামটাম পাল্টে রয়ে গেছে। এই কয়েকজনকে আমরা আনতে পারিনি এখনও। তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকি সব খুনিকে একে একে আমরা নিয়ে এসেছি। যে কয়জনকে আমরা পেয়েছি, রায় কার্যকর করেছি।’