• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

দেশে চরম খাদ্য সংকট-হাহাকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২  

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট বিশ্ব সংকট পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্যের চরম কোনো সংকট বা হাহাকার হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আন্তর্জাতিক সংকটের ফলে দেশের মানুষের সাময়িক কিছুটা কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ অনেক দেশেই বাংলাদেশের চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। তবে আমাদের দেশে চরম কোনো সংকট হবে না।

বুধবার (৩ আগস্ট) বরিশাল শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

চলমান বিশ্ব সংকট কাজে লাগিয়ে বিএনপি ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ও সংকট থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছে। এ দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন ও বাস্তববাদী। জনগণ বিএনপির অপশাসন, লুটতরাজ ও দুর্নীতি ভুলে যায়নি। বিএনপির আমলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি তাদের পাঁচ বছরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও করতে পারেনি। কাজেই বিএনপি-জামায়াত যতোই অপচেষ্টা করুক সফল হবে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। জনগণ সবসময়ই আমাদের সঙ্গে ছিল, আগামীতেও থাকবে।

jagonews24

সম্প্রতি ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সারের দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাম বাড়ানো হলেও তাতে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও দাম কমানো হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনতে সরকার ডিএপির দাম কেজিপ্রতি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে) এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় কৃষকদের সরবরাহ করছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়েছে। ডিএপির ব্যবহার বাড়ায় ভেবেছিলাম ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে, কিন্তু কমেনি।

সাড়ের দাম বাড়ায় ইউরিয়ার ব্যবহার কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

গত সোমবার (১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। ফলে ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে কেজিপ্রতি ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কেজিপ্রতি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ ও বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য তেল ফসল ও উচ্চ উৎপাদনশীল ধানের জাত দ্রুত সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।