• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে বেড়েছে বাদাম চাষ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২  

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার অনাবাদি চরে চিনা বাদাম চাষ বেড়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হওয়ায় এসব জমিতে বাদাম আবাদ করছেন চাষিরা। বর্তমানে তারা বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়ন সংলগ্ন চরে চাষ হয়েছে প্রায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার ১০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ বেড়েছে। চরের মাটিতে পাথর ও বালু বেশি থাকায় এ অঞ্চলে ফলন ভালো হয়।

জানা গেছে, এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পড়ে থাকতো, যা চাষিদের কোনও কাজেই আসতো না। এখন জেগে ওঠা পদ্মার চরে স্থানীয় চিনা বাদাম চাষ করছেন তারা। সাফল্য পাওয়ায় প্রতিবছরই বাদাম চাষ বাড়ছে। অর্থকরী এ ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়ছে। বাদাম চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ দরে।

স্থানীয় চিলমারীর চরের বাদাম চাষি শিমুল মিয়া বলেন, ‘এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। খরচ বাদ দিয়ে বর্তমান বাজার দরে বিঘাপ্রতি প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে।’

মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের চাষি সোহরাব আলী জানান, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন তিনি। লাভ হওয়ায় আগামী বছর দ্বিগুণ জমিতে বাদাম চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান।

আরেক বাদাম চাষি ওহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে বন্যার পানি আসার আগেই চরের সব বাদাম চাষিদের ঘরে তুলতে হবে, না হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এদিকে বাড়ির গৃহস্থালির কাজ শেষে বাদাম ক্ষেতে কাজ করে নারী শ্রমিকরাও বেশ খুশি। তারাও কৃষকের ক্ষেতে গাছ থেকে বাদাম ঝরিয়ে প্রতিদিন আয় করেছেন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুন জাত সরবরাহসহ কারিগরি পরামর্শ প্রদান ও সব ধরনের সহায়তার দেওয়া হচ্ছে। বাদামের ফলন ভালো হয়েছে, এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। চরাঞ্চলের অনাবাদি জমি বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসীর সারাবছরের আর্থিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে।