• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী

অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে বিলাস পণ্য কম কেনার আহ্বান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২  

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় ক্রেতাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বিলাস পণ্য কম কেনা ও অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার অনুরাধ জানান সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

শনিবার (২১ মে) অধিদপ্তরের পরিচালকের নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান শেষে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, জরিমানা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুদ্ধতা আনা। আমরা তাদের বারবার সচেতন করবো। কিন্তু আইনের ব্যত্যয় বারবার করলে তাদের সংশোধনের উদ্যোগ নেবো।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের বারবার বলছি, পাকা রশিদ দিতে হবে। মূল্যতালিকা ঝোলাতে হবে। পেঁয়াজের যারা বড় পাইকার তারা আজকে পাকা রশিদ দিচ্ছে না। এটা না দিলে কারসাজি করার সুযোগ থাকে। একদিনে দুই-তিন টাকা দাম বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য আমরা জরিমানা করেছি।

‘অনেক ভোক্তা প্যানিক বায়িং করেন। ব্যবসায়ীরা বললেন, একজন ভোক্তা ৫ লিটারের ৪ টা বোতল নিয়ে গেছেন। এটি যেন না হয়। আমাদের পরিমিতি বোধ বজায় রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমদানি করা বিলাস পণ্য কম কেনার অনুরোধ জানাই।’

শাহরিয়ার বলেন, যেসব ফল আমদানি করতে হয় সেগুলো কম খেয়ে একটু দেশি ফল বেশি খেতে পারি। আম, কাঁঠাল, লিচু আছে। আমরা আমাদের আচরণের মাধ্যমে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পারি। এজন্য ব্যক্তি পর্যায় থেকে আমরা শুরু করি।

সারাদেশে ভোক্তা অধিকারের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের পর সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়েছে। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। এ কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এরই আলোকে আমরা দেখছি গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী এটার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। রোজার আগে থেকে আমরা কাজ করছি। এখন বলতে পারি তেলের বাজার এখন স্থিতিশীল আছে। আটা থেকে শুরু করে যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেগুলোর দাম বেড়েছে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়তি দেখছি। এবার বাংলাদেশে পেঁয়াজের ফলন অনেক বেড়েছে। কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আপাতত বন্ধ রয়েছে।