• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসায় ভারতের সেনাপ্রধান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২১  

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা তাদের মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’

বুধবার (২৬ নভেম্বর) ‘ভারত-বাংলাদেশ: বন্ধুত্বের ৫০ বছর’ শীর্ষক সেমিনার কাম ওয়েবিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের জন্ম দিতে সামনে থেকে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলএডব্লিউএস) ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং সেই সঙ্গে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়ের স্মরণে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

জেনারেল এম এম নারাভানে বলেন, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এই মহাকাব্যিক সংগ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি, যা বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবন ও ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) এম হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক আলোচনায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন এবং দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়। সেমিনারে পর্যটন ও সাধারণ সংস্কৃতির মতো কূটনৈতিক হাতিয়ার, উন্নত অবকাঠামোগত সংযোগের প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থনৈতিক সংহতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট জনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘বাংলাদেশ লিবারেশন আ্যট ৫০ ইয়ার্স: বিজয়’ উইথ সিনার্জি ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ওয়ার ১৯৭১ শিরোনামের একটি বইও প্রকাশ করা হয়।

বইটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ঐতিহাসিক এবং উপাখ্যানের বিবরণের মিশ্রণ এবং এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের লেখকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত শমসের চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ এবং সেসময় যুদ্ধবন্দী হওয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি সেনাদের নৃশংসতা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল তাও প্রকাশ করেন।

বই প্রকাশের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়, যেখানে একজন যোদ্ধা হিসেবে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সিওএএস ব্রিগেডিয়ার নরেন্দ্র কুমারকে (ভিজিটিং ফেলো, সিএলএডব্লিউএস) ‘স্কলার ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।

সিএলএডব্লিউএস ফিল্ড মার্শাল মানেকশ রচনা প্রতিযোগিতা (এফএমএমইসি) বিজয়ীদের পুরষ্কার এবং প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়।