• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

বছর নয়, তিন মাসেই জিডিপির তথ্য দেবে বিবিএস

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

সাধারণ বছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)  প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়ে থাকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। তবে  এবার বছরে চার বার বা তিন মাস পর পর জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিবিএস। পাশাপাশি জেলা, আঞ্চলিক জিডিপির হিসাবও দেবে বিবিএস।

বৃহস্পতিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ( বিবিএস ) ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং ( জিডিপি ও বৈদেশিক বাণিজ্য ) উইং‘ কোয়াটার্লি ন্যাশনাল একাউন্টিং(কিউএসএ) শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব জনাব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায়  পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড . শামসুল আলম, বিবিএস এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএস জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে অফিসিয়াল পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। বিবিএস জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি শুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনাসহ সকল নমুনা জরিপ কার্যক্রমসমূহের দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে।  

এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশকসমূহ যেমন- মোট দেশজ উৎপাদ ( জিডিপি ), স্থুল ব্যয়যোগ্য জাতীয়(জিডিআই), স্থুল জাতীয় আয়(জিএনআই), সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ভোগ প্রভৃতির নির্ভরযোগ্য হিসাব প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে।

বিবিএস প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, মূল্যস্ফিতিসহ গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে থাকে। একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন সে দেশের জিডিপি তথা জাতীয় আয়ের পরিমাণ হতে তার ধারণা পাওয়া যায়। ১৯৭২-৭৩ সালকে ভিত্তি বছর ধরে বাংলাদেশে প্রথম জিডিপি’র প্রাক্কলন শুরু করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চতর ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি আর্থ - সামাজিক ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বিবিএস স্বাধীনতার পর থেকে বার্ষিক জিডিপি সংকলন ও প্রকাশ করছে। বর্তমানে, সারা বিশ্বে ত্রৈমাসিক জিডিপির গুরুত্ব স্বীকৃত, সরকার তথা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্য - উপাত্ত ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তিন মাসে পর পর জিডিপি প্রবৃদ্ধির চাহিদাও রয়েছে। ফলশ্রুতিতে, সরকার ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক হিসাবের একটি সমন্বিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থা যা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সামগ্রিক ব্যবস্থা তুলে ধরার জন্য ডিজাইন করা হয়।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলো তিন মাস পর পর জিডিপির তথ্য দিয়ে থাকে। কাজটি দেরিতে হলেও আমরা করতে যাচ্ছি। বার্ষিক প্রাক্কলন তো আছেই তারপরও তিন মাস পর পর প্রবৃদ্ধির তথ্য পেলে জরুরি পদক্ষেপগুলো নিতে পারব। অর্থনীতিকে বোঝা, জানা, নীতি গ্রহণ ও পদক্ষেপ নিতে ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, তিন মাস পর জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দিতে সরকার প্রধানের( প্রধানমন্ত্রী) নিকট থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তিন মাস পর পর আমরা প্রবৃদ্ধি তথ্য দেব। আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিন মাস পর প্রবৃদ্ধির তথ্য পেলে আর্থিক স্বাস্থ্যের তথ্যও জানতে পারব।