বাংলাদেশের কৃষিপণ্য যাচ্ছে ১৪৪ দেশে
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাত্র চার বছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে সেটা ছয় গুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন এই খাতের ব্যবসায়ী ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, এই বিশাল সম্ভাবনার পথের কাঁটা অশুল্ক বাধা। সেটা দূর করা গেলে রপ্তানি আয়ে শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতের পরেই জায়গা করে নিতে পারে কৃষিজাত পণ্য।
এমন আরো কিছু সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো দূর করার পাশাপাশি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। একসময় দেশীয় পণ্যে প্রবাসীদের রসনা তৃপ্তির জন্য মুড়ি, চানাচুর ও বিস্কুটের মতো পণ্য রপ্তানি শুরু হয়। এখন এই তালিকায় যোগ হয়েছে জ্যাম-জেলি, সস, নানা রকম মসলা, জুস, সরিষার তেল, আচার, সুগন্ধি চালসহ আরো কয়েকটি পণ্য। যেসব দেশে এগুলো রপ্তানি হচ্ছে সেখানকার মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি হতো মাত্র ৫৫ কোটি ডলারের। ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ১০৩ কোটি ডলার আয় এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী সংগঠনের (বাপা) সহসভাপতি সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে অশুল্ক বাধা দূর করা গেলে এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় করা সম্ভব। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার আরো বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং গুণগত মান উন্নয়নে জোর দেওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা যায় এবং বিদেশে পাঠানো যায় তবে দেশে কর্মসংস্থান হবে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। তাঁরা বলেন, কয়েকটি দেশের সঙ্গে পণ্য রপ্তানিতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে রপ্তানির পথ আরো প্রশস্ত হবে। বন্দরে পণ্য পাঠানো সহজ করা, দেশে বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন ও রপ্তানিতে শুল্ক-অশুল্ক বাধাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রপ্তানির খাত হিসেবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য খাতটি উঠে আসছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মিজানুল হক বলেন, দেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও এর পরিবহন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে এর বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, পচনশীল পণ্য হিসেবে এ খাতে বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা, বিশ্বমানের কৃষিপণ্য উৎপাদনে ফাইটোস্যানিটারি (উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত) সনদ, গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস (গ্যাপ) নিশ্চিত করে পণ্য তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে রপ্তানিকারক থেকে কৃষক পর্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ বাড়ানো এবং মূল্য সংযোজন নিশ্চিত ও সহজ করতে হবে। দেশে বিশ্বমানের কৃষিজাত পণ্যের শিল্প গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানসনদের দেশীয় সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডকে (বিএবি) কাগুজে বাঘ হয়ে থাকলে চলবে না।
দেশের কৃষিজাত পণ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের কৃষিজাত পণ্যের সম্ভাবনার তুলনায় রপ্তানি খুব কম হলেও বাড়ছে। এটাকে আরো এগিয়ে নিতে গেলে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর আমাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে হবে।’ তিনি বলেন, বিশ্বে খাদ্যজাত পণ্যের বড় বাজার রয়েছে, যার পরিমাণ সাত ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ১০০ কোটি ডলার। আগামীতে আরো দ্রুত এই বাজার বাড়বে জানিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, এ জন্য পুঁজি সহায়ক বিনিয়োগ নিয়ে ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
ইপিবির তথ্য অনুসারে, ৪৭৯টি প্রতিষ্ঠান ১৪৪ দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ছাড়াও স্কয়ার, বিডি ফুডের মতো আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বাজারও বেশ বড়। এই প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থবছরে তাঁদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাপার তথ্য অনুসারে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ বার্ষিক বাজার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। কাজ করছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০০০ সালের দিকে শুরু হয় এই খাতের পণ্য রপ্তানি। সরকারের ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা, ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ফলে প্রতিযোগী দেশ ভারত, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে দেশের রপ্তানির বাজারও।
- রোজার মাসে সুস্থ থাকতে হৃদরোগীরা যা করবেন
- মুখে-গলা-ঘাড়ে কালো ছোপ?
- ঐতিহাসিক চুক্তি ॥ একীভূত হলো পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- প্রশাসনে গতি বাড়ানোর উদ্যোগ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত
- ইফতারে খান চিড়ার লাচ্ছি
- পণ্য মজুতের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ৩ লাখ
- কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
- হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- রমজানে জাল টাকা প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
- মোংলায় বড় জাহাজ ভেড়াতে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ
- প্রবাসী নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
- ফোন সুইচ অফ থাকলেও খুঁজে পাবেন সহজে
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি দামে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা
- গাজায় দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি
- নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে
- ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- শিবচরে ১ শত ২০ কেজি জাটকা ও জেলিযুক্ত ১০ কেজি চিংড়ি জব্দ
- শরীয়তপুরে প্রথমবার মৌরি চাষ
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- মেঘনায় অভিযানে জব্দ ৫০ লাখ মিটার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট
- জনগনের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে সরকার
- আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুমকিতে শিশু ধর্ষনে অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার
- অপরিপক্ক তরমুজে সয়লাব বাজার, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
- একরাতে কবর থেকে ১৭ কঙ্কাল উধাও!
- ইস্টার্ন প্লাজায় আইফোনসহ নামিদামি ব্রান্ডের নকল মোবাইল!
- শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
- পাপীদের হাতে যখন রাষ্ট্র ছিল, সেসময় রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়নি
- মাদারীপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
- আমরা তৃনমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একত্রে সংগঠন চালাতে চাই
- বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের বাংলাদেশ মানুষ অনেক ভাল আছে
- প্রেমের টানে শিবচরে এলো ইন্দোনেশীয় তরুনী, হলো জাকজমক ভাবে বিয়ে
- পুলিশের ধাওয়ায় ককটেল ভর্তি বালতি রেখে পালিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- শিবচরে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা
- ভূমধ্যসাগরে আরও ২ যুবকের মৃত্যুর খবরে মাদারীপুরের শোকের ছায়া
- রাজৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল মালিককে জরিমানা
- ২০২৫ সালের মধ্যে শরীয়তপুরের সকল নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শেষ হবে
- নেই ডাক্তার-নার্স-টেকনোলজিস্ট রাজৈরে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
- মাদারীপুরে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ, পালিয়েছে মালিক
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে কমিটি
- মাদারীপুরে জাতীয় পাট দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন
- বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি
- রেটলিস্ট হালনাগাদে মতামত জানতে চায় বিটিআরসি
- ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড
- এস আলম চিনিকলে ৫৪ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন
- আম্বানিপুত্রের বিয়েতে বসবে তারার মেলা, থাকছেন যারা
- মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং
- তার ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন ব্রডব্যান্ড
- রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
- জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার
- কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল
- দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত