• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় যেন স্বজনপ্রীতি না হয়: কাদের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২১  

মহামারিকালে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেটি বণ্টনে যেন স্বজনপ্রীতি না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে  পৌঁছায় সেদিকে কঠোর সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ নির্দেশনা দেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন,পর্যটনখাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেন। 

এ বিষয়ে সরকারের সেতুমন্ত্রী বলেন, সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে তালিকাভূক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনার ৫ প্যাকেজ হচ্ছে

১. নিম্ন আয়ের ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষ এই প্যাকেজের আওতায় নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। সেজন্য বরাদ্দ থাকছে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। উপকারভোগীদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন।

২. শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ২৫ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আওতায় দেওয়া হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা। সেজন্য এ প্যাকেজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

৩. জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু আছে, তা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

8. গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য সুদের হার আগের মতই ৪ শতাংশ হবে।

৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে মহামারির ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য  ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।