• মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩০

  • || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের মামলার ৪ জন কারাগারে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্যে দুদকের দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, মাদারীপুর জেলা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবকে টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারি পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি এলাকার মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী। এছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হননি।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের (চলতি বছরের) ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। এই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। শুনানি শেষে আসামি ৪ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মাদারীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, 'দুদকের দায়ের করা মামলায় চার জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জমিনের জন্য আবেদন করলে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদক মামলাটি তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন আদালত।'