• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানো : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি নিউজউইকে নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পর্যটন নগরীতে পৌঁছাল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মেয়র হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন

প্রতিশোধ নিতে অ্যাসিডে স্ত্রীর মুখ ঝলসে দেয় সুমন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ানো ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় স্বামী সুমন শিকদারকে তালাক দেন স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তালাক দেওয়ার কিছুদিন পর সাদিয়া অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রাক্তন স্বামী সুমন শিকদার। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তকর সাবেক স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয়।

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। এর আগে এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুমন শিকদারকে বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানায়, প্রেমের সম্পর্কে ৪ বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরের চর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে সুমন শিকদারের সাথে বিয়ে একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। তাদের ঘরে এক শিশু কন্যা সন্তানও রয়েছে। সংসার জীবনের শুরু থেকেই সুমনের কাজে অনিহা ও মাদকসেবী হওয়ার কারনে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। একপর্যায়ে সাদিয়া তাকে তালাক দিয়ে দেয় এবং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। একথা সুমনের কানে পৌঁছাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। পরে ঘটনার দিন বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে সুমন লোকজন নিয়ে সাদিয়ার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। তাকে বাঁধা দেওয়া হলে সুমন তার সাবেক স্ত্রীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। অ্যাসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা সাদিয়াকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করে। বর্তমানে সাদিয়া সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তারের বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অ্যাসিড  অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর পর গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সুমন শিকদার। ঘটনার পর তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরচর হতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এছাড়াও তার সাথে আরো কয়েকজন সহযোগী ছিলো বলেন নিশ্চিত করে। তাদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এ সম্পর্কে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এ এম ফরহাদ রাহী মীর বলেন, মামলা গ্রহণের পর আমরা অভিযান পরিচালনা করে শিবচর ও জাজিরা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তবে তিনি তার ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রেখে সুকৌশলে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আসামিকে দুপুরে আদালতের হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।