• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রকাশিত নিউজের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৬ মার্চ) বেলা ১১ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে অভিযান শেষে দুদকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনা রয়েছে। সরকারের বরাদ্দকৃত ওষুধের তালিকা ও হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য ওষুধের বিতরণের তালিকায় গরমিল, চিকিৎসক না থাকা সত্ত্বেও সেই খাতে ঔষধ ক্রয়, একই ব্যক্তিকে বারবার ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারি প্রদান ও খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও একই ব্যক্তিকে বারবার ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারি কালের কণ্ঠ অনলাইন পত্রিকায় '৬ মাস আগে অভিযান চালায় দুদক, তবুও থেমে নেই অনিয়ম-দুর্নীতি' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
 
এছাড়াও মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেবাপ্রত্যাশীরা দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর ১০৬ কল করে অভিযোগ জানায়। সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ৭ জন সদস্য। বিভিন্ন ধরনের নথি যাছাই ও রোগীর সাথে কথা বলেন তারা। এ সময় সরকারি ওষুধ ক্রয় ও বিতরণসহ নানা অনিয়য়ের প্রাথমিক সত্যতা পান কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়া নেয়া হবে বলে জানায় সংস্থাটি। তবে এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে কথা বলতে চান না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।

 

মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসা রোগী বাবুল আক্তার বলেন, অধিকাংশ ওষুধ বাহির থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। তাদের কাছে চাইলে বলে, সরবরাহ নেই।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর থেকে আসা মরিয়ম বেগম নামে আরেক রোগী বলেন, রোগ ভাল করতে হলে বাহির থেকে ওষুধ কিনে নিতে হয়। ডাক্তার যে যে ওষুধ লিখে, তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন স্বাস্থ্যসেবা লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী বলেন, আমাদের গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধ আছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য দিবে সিভিল সার্জন স্যার। আমি কিছুই বলতে পারবো না।

অভিযানের বিষয়ে মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান জানান, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ ও ভুক্তভোগীর একাধিক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে অভিযানে যায় দুদকের একটি চৌকস দল। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে এ ব্যাপারে জানতে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে দাপ্তরিক কাজে বাহিরে থাকায় এমনকি অফিসে গিয়েও তার কোনো দেখা মেলেনি।