• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

আসামিকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামি আউয়াল মাতুব্বরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নিহতের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলাটি করেন। এতে ৫১ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় কবির মাতুব্বর (৪০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। রোববার রাতে সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করা হয়। কবির একই এলাকার মৃত আক্কেল আলীর মাতুব্বরের ছেলে। সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার কবির মাতুব্বরকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজলোর পাঁচখোলা এলাকার কাশেম মাতুব্বরের ছেলে আউয়াল মাতুব্বর (৫০) স্থানীয় একটি বাজারে চায়ের দোকান করতেন। আউয়ালের সঙ্গে পাঁচখোলা এলাকার দেলোয়ার হাওলাদার ও তার ভাই ওমর হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ছাড়াও স্থানীয় রাজনীতিতে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বে ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচখোলা এলাকায় সাহেব আলী মাতুব্বর নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন আউয়াল। প্রায় এক বছর আগে আউয়াল জামিনে বের হয়ে আনন্দবাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান দেন। ওই দোকানে ব্যবসা করতেন তিনি। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে নিজ দোকানে ঘুড়িয়ে ছিলেন আউয়াল। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ে কিছু লোক আউয়ালকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায় আনন্দবাজার এলাকার রুহুল হাওলাদারের বাড়ির সামনে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আউয়ালকে এলোপাথারি কোপানো শুরু করে। এ সময় আউয়ালের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরতর অবস্থায় আউয়ালকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর শনিবার রাত ৪টার দিকে মারা যায় আউয়াল। পরে লাশটি ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকেলে সাড়ে সাড়ে ৪টায় দিকে পরিবারের কাছে আউয়ালের মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার আগে হামলাকারীদের নাম বলে গেছে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই, ওদের ফাঁসি চাই।’
মামলার বাদী নিহত আউয়ালের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর বলেন, ‘আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তারা কেউ এলাকায় নেই। পুলিশের কাছে অনুরোধ, আসামিদের যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এ সম্পর্কে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আউলায়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।