• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

গল্প-গান আর সুর-তালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘মাদারীপুর সাহিত্য মেলা’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: লেখক কর্মশালা, স্বরচিত সাহিত্য পাঠ, কবি কন্ঠে কবিতা পাঠসহ গল্প-আড্ডা আর সুর-তালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাদারীপুরে দুই দিনের সাহিত্য মেলা। সোমবার রাতে মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শেষ হয় সাহিত্যিকদের মিলন মেলা।
মাদারীপুর জেলা সাহিত্য চর্চায় সমৃদ্ধশালী একটি জেলা। এখানে বিভিন্ন সময়ে কবি ও সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন। মহাকবি আলাওলসহ বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম মাদারীপুরে। তাই জেলা পর্যায়ের সকল সাহিত্যিকদের পরিচয় ও তাদের সৃষ্টিকর্ম সকলের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় উদ্ভুদ্ধ করতে দুই দিনের সাহিত্য মেলার আয়োজন করেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। রবিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব নাফরিজা শ্যামা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির গবেষণা উপবিভাগের উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।
সোমবার দ্বিতীয় দিনে লেখক কর্মশালা, স্থানীয় লেখকদের স্বরচিত সাহিত্য পাঠ, কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ, ছোট গল্প, উপন্যাস থেকে পাঠ, নাটক থেকে পাঠ করেন সাহিত্যিকরা। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। কবিদের নিজেদের কবিতা ও অনুভূক্তি ব্যক্ত সবার নজর কাড়ে। এছাড়া গল্প গান সুর-তাল মিলিয়ে এক মধুর মিলন মেলায় পরিনিত হয় শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গন।  
এ মেলার মাধ্যমে সাহিত্য চর্চায় আগামী প্রজন্ম প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। সমাজ থেকে বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা দূর হবে বলে মনে করেন কবি লেখকরা। এসময় তিনটি বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রবন্ধকার ইয়াকুব খান শিশির, সুবল বিশ্বাস ও মাসুদ সুমন।
কবি সুবল বিশ্বাস বলেন, ‘দুই দিন কবি লেখক সাহিত্যিকদের সাথে গল্প আড্ডায় খুবই ভালো সময় কেটেছে। নিজেদের সাহিত্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। অন্যদের সৃষ্টিকর্ম নিয়েও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা প্রশাসনের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আগামীতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে পারবে।’
আয়োজক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যত প্রকার নেতিবাচক দিক আছে, তার সবদিক থেকে রক্ষা করতে পারে সাহিত্য। তাই সাহিত্যকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে দুই দিনের সাহিত্য মেলা করা হয়। আগামীতেও জেলা প্রশাসন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় ঝোঁকাতে কিছু হলেও সাহিত্য মেলা ভূমিকা রাখবে।’