• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে নদে অবৈধভাবে দখলে নেওয়া বাঁধ ভেঙে দিল প্রশাসন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২  

মাদারীপুর প্রতিনিধি মাদারীপুরে কুমার নদে চর অবৈধভাবে দখলে নেওয়া বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন প্রশাসন। বু্ধবার দুপুর আড়াইটায় মস্তফাপুর স্লুইসগেট এলাকায় মাটিকাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চালান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন।
মস্তফাপুরে কুমার নদে জেগে ওঠা চর অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষের জন্য ঘের তৈরি করেন মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন খান। স্থানীয় বাসিন্দারা এর নাম দিয়েছিলেন ‘চেয়ারম্যান প্রজেক্ট’। নদের চরে বাঁধ উচ্ছেদ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়া বাসিন্দারা আবু আলম নুসু বলেন, আগের চেয়ারম্যান খাল বেঁচে খেত, এখন চেয়ারম্যান নদী বেচা শুরু করেছে। বিষয়টি নজরে এনে প্রশাসন যে ভুমিকা নিয়েছে তাতে আমরা খুশি।
সদর উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, কুমার নদের চরে ৫০ নম্বর চতুরপাড়া মৌজায় বিআরএস ১ নম্বর খতিয়ানে ৬৩৪ নম্বর দাগে ৩ একরের বেশি জমি খাল শ্রেণি হিসেবে রেকর্ড। এই খালের জমিটা লেয়ার কুমার নদ হিসেবেই পরিচিত। সরকারি এই খাস জমির বিশাল একটি অংশ মাটিকাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে চারপাশের মাটি কেটে বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘের তৈরি করেন মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান। প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির বাঁধটি ২০ থেকে ২৫ ফুট চওড়া।
এ সস্পর্কে মাদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন বলেন, নদে জেগে ওঠা চরের জমিতে ইউপি চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ঘের করে মাছ চাষ ও শাক সবজি চাষাবাদ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। একজন চেয়ারম্যাসন কর্তৃক সরকারি খালের জায়গা এ ভাবে দখল করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রীয় সম্পতি অনুমতি ছাড়া ব্যবহাররের কোন সুযোগ নাই। এই কাজ করার জন্য চেয়ারম্যান তার পরিষদে যে মিটিং করে যে রেজুলেশন করেছে তা তিনি কোন ভাবেই করতে পারেন না।

ইউএনও আরও বলেন, তিনি (চেয়ারম্যান) কেন চর দখলে নিয়ে এমন কাজ করলো, সেই বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপতত জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যানের দখল করা বাঁধ ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে দিয়েছি এবং বাঁশের খুঁটি গেঁথে লাল পতাকার নিশান লাগিয়ে নদের খাস জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাইফুল ইসলাম, চর দখলে অভিযুক্ত ও মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলেয়া আক্তার ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।