• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে স্কুল ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরে প্রথমবারের মতো স্কুলভিত্তিক দাবা খেলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন জেলার ৫টি উপজেলার ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুলিশ লাইনস্ ড্রিলসেডে এ দাবা খেলা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) চাইলাউ মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান খান, দাবা টিমের আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

জেলায় প্রথমবারের মত দাবা খেলার এমন আয়োজনে খুশি ক্ষুদে দাবারুরা। দাবা খেলায় অংশ নেয়া ক্ষুদে খেলোয়াড় সাইমা আক্তার। এই খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই বলে উঠল, দাবা খেলার সময় নিজেকে এক রাজ্যের রানী মনে হয়। অনেক হিসেব নিকেশ করে গুটির চাল দিতে হচ্ছে। যদিও শুরুতে এই খেলা খেলতে গিয়ে বাঁধা সম্মুক্ষিণ হয়েছি। এখন পরিবারের সবাই সাপোর্ট করে। খুব তৃপ্তি পাই। আমি জাতীয় পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখছি।’

তুর্য্য চক্রবার্তী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি বাবার সঙ্গে নিয়মিত দাবা খেলি। কিন্তু প্রতিযোগিতায় এ বারই প্রথম। এত এত দাবারু বন্ধুদের দেখে ভাল লাগছে। নিজের মধ্যে সাহসই পাচ্ছি। নতুন করে কৌশলও অবলম্বন করছি।’

আয়োজকরা বলছেন, নিয়মিত বিভিন্ন রকমের খেলাধুলার আয়োজন করলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিংসহ সামাজিক অপরাধ দূর হবে। তরুণদের মধ্যে মানবিক চেতনা জাগ্রত হবে। তাই খেলাধুলার বিকল্প কিছু নেই। এ ছাড়াও এই খেলার কৌশল আর বুদ্ধিমত্তার সর্ম্পকে পর্যাপ্ত ধারণা থাকলে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করাও সম্ভব।

আয়োজকদের সূত্র জানান, প্রায় ২০ বছর আগে ক্রীড়া অঙ্গনে নিয়মিত দাবা খেলার প্রচলন থাকলেও নানা জটিলতার কারনে জেলায় দাবা খেলার প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। সেই প্রেক্ষাপট ফিরিতে আনতে উদ্যোগ নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা পুলিশ। এ বার স্কুলভিত্তিক দলগত দাবা খেলায় জেলার ৫টি উপজেলা থেকে বাচাইয়ের মাধ্যমে ১৮ স্কুল অংশ নিয়েছে। অংশ নেওয়া প্রতিটি দলে ৬ জন খেলোয়াড় রয়েছে। জেলা থেকে অংশ নেওয়া বিজয়ী খেলোয়াররা পরবর্তীতে বিভাগীয় ও বিভাগীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে। সারাদেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন দল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পুরষ্কার স্বরূপ দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান খান বলেন, ‘এ খেলার মাধ্যমে শিশুদের মেধার চর্চার সুযোগ পাবে। অপসংস্কৃতি থেকে শিশুরা রক্ষা পাবে। আমাদের সকলের উচিৎ এই খেলাকে প্রসারিত করা এবং নিয়মিত স্কুল পর্যায় দাবা খেলার আয়োজন করা।’

দাবা টিমের আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান বলেন, নিয়মিত খেলাধুলাই পারে সমাজকে পরিবর্তন আনতে। দাবা খেলা একটি বুদ্ধির খেলা, এ খেলার মাধ্যমে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিৎ পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত দাবা খেলা। এরফলে শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তা ধারা বদলাতে পারবে।’