• বুধবার ৩১ মে ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৬ ১৪৩০

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৪

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে গৃহহীন ৩৭টি পরিবার পেল নতুন ঘর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে ঈদের আগেই নতুন ঘর পেল ৩৭টি পরিবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে জমিসহ ঘর পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবার।

এর মধ্যে মাদারীপুরে এই পরিবারগুলোও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশে একযোগে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

পরে মাদারীপুর সদর উপজেলার আচতম আলী খান মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপকারভোগীদের মাঝে জমি ও ঘরের দলিল, নামজারী কপিসহ মালিকানা সনদ প্রদান করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান খান, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মশিউর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি আকাশ কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান, শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, মাদারীপুর জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে মাদারীপুর সদরে ২০ ও রাজৈরে ১৭টিসহ মোট ৩৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মাদারীপুর জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৮১৪টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের সোট ১৯৬টি গৃহের মধ্যে ১৫৯টি গৃহের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পুরো মাদারীপুর জেলায় ১ হাজার ১০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন আরো বলেন, ঈদের আগে সেমিপাকা ঘর—এসব ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যুক্ত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ভূমিহীন-গৃহহীনের জন্য জমির মালিকানাসহ এই ঘর দিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর দেয়া হয়েছে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেয়া হয়েছে তাদের। এর সাথে রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা আছে।