• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

অভিযোগকারীদের বিচার চাইলেন জাহাঙ্গীর, আজমতকে সহায়তার আশ্বাস

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩  

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধ সম্পদ অর্জন, সিটি করপোরেশনের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

এসময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগকারীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। পাশাপাশি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১০টার পরে সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হন জাহাঙ্গীর আলম। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা (দুদক) কীভাবে, কী তথ্য পেলো সেটা কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। আমারটা আমি ক্লিয়ার (ব্যাখ্যা দিয়ে) করে গেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো শতভাগ মিথ্যা। যারা করেছেন তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। যারা কাজ করতে চায় তাদের কেন হয়রানি করা হবে?

তিনি বলেন, এভাবে হয়রানি করলে যারা দেশের জন্য কাজ করতে চান, তারা কাজ করতে অনেক সময় স্থির হয়ে থাকবেন। কাজ করতে চাইবেন না। আমি দুদককে সহায়তা করতে এখানে এসেছি। দুদককে শতভাগ সহায়তা করতে চাই। সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে গেছি।

আজমত উল্লা খানকে নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান করা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। উনি অত্যন্ত ভালো একটা দায়িত্ব পেয়েছেন। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নগরের মানুষের জন্য কাজ করবে। যে কোনো মানুষ নগরের জন্য কাজ করলে তাকে স্যালুট জানাই। তিনি তো আমার বড় ভাই, তাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি (আজমত উল্লা) তার কর্মদক্ষতা দিয়ে সেখানে ভালো কিছু করবেন। আমি তাকে সার্বিক সহায়তা করবো।

এর আগে গত রোববার গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান।

এদিকে, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৬ মে জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করে নোটিশ দেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে ভুয়া ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। আলাদা নোটিশে তাকে ২১ ও ২২ মে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে অনুরোধ করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।

দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরের নেতৃত্বে দুইটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। গত ১৮ মে দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ মে দুদকে উপস্থিত হয়ে সময় চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আসেন তিনি। পরে দুদক তাকে চলতি মাসের ৬ ও ৭ তারিখ হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলে।