• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

‘যতদিন বাঁচবো ততদিন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

‘আমি গরিব মানুষ। অন্যের বাড়িতে থাকতাম। অনেক কষ্ট হতো, নানা কথা শুনতে হতো। আজ এই বিপদ থেকে মুক্তি পেলাম। যতদিন বাঁচবো ততদিন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো।’

উপহারের ঘর পেয়ে দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এভাবেই দোয়া করার কথা বলেছেন রফিকুল ইসলাম। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়নে জমিসহ পাকা বাড়ি পেয়েছেন তিনি। তার মতো জমিসহ পাকা বাড়ি পেয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী সফেরা বেগম। দিনাজপুর দশমাইল সংলগ্ন শিবপুর এলাকায় বাড়ি পেয়েছেন তিনি।

সফেরা বেগম বলেন, ‌‘মোর স্বামী প্রায় ২০ বছর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। গত সাত বছর আগত (পূর্বে) পঙ্গু হই বাড়িত শুতি (শুয়ে) থাকে। এই স্বামীকে নিয়ে একখান ভাঙা ঘরত থাকেছিনু (থাকতাম)। আকাশের পানি (বৃষ্টি) হইলেই ঘরে পানি পড়ে। আইজ একখান বাড়ি পাইনু।। অনেক আনন্দ লাগেছে। শেখ হাসিনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করিম সবসময়। উনি যেন আবার প্রধানমন্ত্রী হয়। মোদের কষ্ট দূর হয়।’

রফিকুল ইসলাম ও সফেরা বেগমের মতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ঘর পেয়েছে দিনাজপুরের এক হাজার ৮৩৫টি পরিবার। সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাদের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র বিতরণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

সদর উপজেলার উলিপুর সংলগ্ন এলাকায় ঘর পাওয়া রোকসানা পারভীন বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর কিছুই নেই। মানুষের জায়গায় থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একটা বাড়ি দিয়েছেন। এই আনন্দ আর কই রাখি। নিজের জায়গা, নিজের বাড়ি। কখনও ভাবতেই পারিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দায়িত্ব নিয়েছেন। অনেক খুশি হয়েছি। শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবো।’ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাড়ির কাগজপত্র হাতে পেয়ে কথাগুলো বলেছেন রোকসানা। এর আগে দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমি ও ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ পর্যায়ে দিনাজপুর জেলায় এক হাজার ৮৩৫টি পরিবারকে জমিসহ পাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে মানুষের উন্নয়ন হয়। বিএনপি-জামায়াত শুধু নিজেদের উন্নয়ন করেছে। বর্তমানে গৃহহীনদের মাঝে যেসব স্থানে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে, এসব জমি বিএনপি-জামায়াতের নেতারা দখল করে রেখেছিল। আমরা সেসব জমি উদ্ধার করে গৃহহীনদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও প্রধানমন্ত্রী গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘বীর নিবাস’। বীরদের জন্য এই নিবাস করে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন এবং গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে চান প্রধানমন্ত্রী। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর করে দেওয়ার নজির কোনও দেশে নেই।’