• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

৬৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হলেন মান্নান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বৃদ্ধ বয়সে নাতির ছেলের সঙ্গে স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সহপাঠী শিশুদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে আছেন আব্দুল মান্নান। বই হাতে নাতি মাহফুজারের ছেলে কাওসারের হাত ধরে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করেন তিনি।

আব্দুল মান্নান বলেন, সংসারে সব সময় অভাব লেগেই থাকতো। অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। ছয় ভাই, এক বোনের মধ্যে ছিলাম তৃতীয়। কখনো লেখাপড়ার সুযোগ পাইনি। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে চোখে পানি চলে আসে। বৃদ্ধ বয়সে জীবিকার তাগিদে নিরুপায় হয়ে কিশোরগাড়ি বাজারে ছোট দোকানে পান বিক্রি শুরু করি।

তিনি বলেন, বাকি লেনদেনের হিসাব লিখে রাখার প্রয়োজনীয়তা থেকেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সবার সঙ্গে কথা বলে আমাকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে নেন। এই বয়সে স্কুলে ভর্তি হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।  

ব্যক্তি জীবনে মালেকা ও জান্নাতী নামে দুই মেয়ে ও মমিরুল নামে এক ছেলেসহ তিন সন্তানের জনক তিনি। মেয়েদের বিয়ে হলেও ছেলে মমিরুল পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষার্থী। বড় মেয়ের ছেলে মাহফুজার বড় হয়ে বিয়ে করেছেন। তার ছেলের নাম কাওসার। যে সম্পর্কে আব্দুল মান্নানের পুতি। সেই পুতির সঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন আব্দুল মান্নান।

মান্নানের শ্রেণি শিক্ষিকা সুরভী আকতার বলেন, আমার ১২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এত বেশি বয়সী কাউকে শিক্ষা দেয়নি। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন। একজন বৃদ্ধ মানুষকে শেখাতে পেরেও নিজেকে ধন্য মনে করছি।

শিক্ষক মানিক মিয়া জানান, শিক্ষার যে কোনো বয়স নেই, তা আব্দুল মান্নান চাচা প্রমাণ করেছেন। আমরা শিক্ষকরা খুবই খুশি । আমরা তাকে আন্তরিকতার সঙ্গে সব কিছু শেখানোর চেষ্টা করছি।  

প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মিথুন মণ্ডল জানান, আব্দুল মান্নান বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করে আসছিলেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে শিশুদের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছেন। তার ব্যবহার খুব ভালো। তার ক্লাসের অনান্য শিশুরাও কোনো ভয় পাচ্ছে না। সবাই মজা করে ক্লাশ করছে।