• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সত্যজিৎ রায়ের ১০০ তম জন্মদিন আজ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ মে ২০২১  

বাঙালি কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের একশোতম জন্মদিন আজ। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা। সেইসঙ্গে নাটক, সাহিত্য, চিত্রকলা এমনকি সঙ্গীতে ছিলো তার অবাধ বিচরণ। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন সত্যজিৎ।

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন  সত্যজিৎ রায়। বাবা সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী দুজনেই সেই সময় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায়।

৬ ফুট ৫ ইঞ্চির এক বিশাল মানুষ ছিলেন সত্যজিৎ। তিনি এমন এক স্রষ্টা যার ম্যাজিক তার উচ্চতার মতই বিরল| ২৮টি ফিচার ও ৮টি ছোট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ও শর্ট ফিল্ম তার দীর্ঘ ৪২ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারের ফসল। শুধু এটুকুতেই তার কাজের পরিমাপ করা যাবে না। সত্যজিতের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন তার ছবির বিশাল ব্যাপ্তিতে।

শুধু চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের গণ্ডিতে আটকে থাকেননি তিনি। সত্যজিতের ক্যালিগ্রাফির কাজ, তাঁর আঁকা, ছবি, প্রচ্ছদ চমকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচকদের। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের সেরা বাঙালি প্রতিভা  যে তিনিই সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

সত্যজিৎ রায় ১৯৫২ সালে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে ছবিটির নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং সে বছরই ছবিটির মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’ নামে আরও দুইটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ তিনটি চলচ্চিত্র  অপু ট্রিলজি হিসেবেই পরিচিত। 

সত্যজিৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে- ‘তিন কন্যা’ (১৯৬১), ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), ‘নায়ক’ (১৯৬৬), ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ (১৯৭০), ‘সীমাবদ্ধ’ (১৯৭১) ও ‘জন অরণ্য’ (১৯৭৫) গণশত্রু’ (১৯৮৯), ‘শাখাপ্রশাখা’ (১৯৯০) ও ‘আগন্তুক’ (১৯৯১)। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ ও ‘প্রফেসর শঙ্কু’।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল এই খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন।