• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

রিমান্ড শেষে কারাগারে শারমিন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহানের জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শারমিনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, মাস্ক নিয়ে মুখ খুলছেন শারমিন। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তিনি কোথা থেকে এবং কার মাধ্যমে মাস্ক সংগ্রহ ও সরবরাহ করেছেন, এসব জানার চেষ্টা চলছে।

তারা বলছেন, প্রথম দুই লটের মাস্ক চীন থেকে আমদানি করা হলেও বাকি মাস্কগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও লোকজন জড়িত রয়েছে। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্ক সরবরাহ করতে গিয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন শারমিন। প্রথম দুই লটে আসল ‘এন-৯৫’ মাস্ক দিলেও পরবর্তী সময়ে লটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, শারমিন বিএসএমএমইউ থেকে কীভাবে মাস্ক সরবরাহের কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। তার এই জালিয়াতির সঙ্গে বিএসএমএমইউর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে।

গত ২৩ জুলাই নকল ও ত্রুটিপূর্ণ মাস্ক সরবরাহের কারণে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ। ২৪ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থেকে শারমিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ২৫ জুলাই শারমিনের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।